শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনের টাকা আত্মসাৎ: মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিদ্দিকুরের সম্পদের পাহাড়!
হবিগঞ্জের মাধবপুরের এমপিওভুক্ত দরগাবাড়ি পৌর দাখিল মাদ্রাসার ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী ৪৮ মাস ধরে মাদ্রাসা তহবিলের বেতন-ভাতাদি পাচ্ছেন না।শিক্ষক-কর্মচারীদের অভিযোগ,মাদ্রাসাটির অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সচিব সিদ্দিকুর রহমান ম্যানেজিং কমিটির লোকদের ম্যানেজ করে ভুয়া বিল-ভাউচারে অর্থ আত্মসাৎ করছেন।এ নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। স্থানীয় প্রশাসনে কাছে একাধিকবার অভিযোগ এমনকি মানববন্ধন করলেও কোন ফল পাইনি তারা। বরং যারা প্রতিবাদ করেন তাদেরকে করা হয় হয়রানিও।
অভিযোগ রয়েছে সিদ্দিকুর রহমান স্থানীয় দাখিল পরীক্ষার পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব পালন করার সুবাদে সেখান থেকেও প্রতি বছরে লক্ষাধিক লাখ টাকা করে আত্মসাৎ করছেন।
যা নিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে তদন্ত চলছে সিদ্দিকুরের বিরুদ্ধে। পরীক্ষা কেন্দ্রে অবাধে নকলের মহোৎসবের হুতাও তিনি।এসব কর্মকাণ্ডে বড় ধরনের আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন তিনি।অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর অবৈধ আয় দিয়ে মাধবপুরে নামে-বেনামে তৈরি করেছেন সম্পদের পাহাড়।
অল্প দিনের মধ্যে তার আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছে।তিনি মাধবপুরের বারো চান্দুরা মৌজায় তার মাদ্রাসার পূর্বপাশে ৬ শতক ক্রয় করেছেন।মাদ্রাসার পশ্চিম দক্ষিণে ৩ শতক ভূমি কিনেছেন।আদাঊর ইউপির নোয়াগাঁও শ্মশান ঘাটে স্থানীয় মাতু মিয়ার কাছ থেকে বিল্ডিংসহ ৪ শতক জমি ক্রয় করেছেন যার বাজার দাম প্রায় ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি।কয়েক মাস আগে মাধবপুর পৌরসভার ফায়ার সার্ভিস রোডে গাউছিয়া মসজিদ সংলগ্ন ১০ শতাংশ ভূমি কিনেছেন যার বর্তমান বাজার দাম ১কোটি টাকার বেশি।এছাড়া তিনি মাধবপুর বাজারের ধান বাজারের কাছে মুল্যবান ভিটাও ক্রয় করেছেন।
আরো তার ও তার পরিবারের লোকদের নামে-বেনাম কেনা সম্পদের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।
হঠাৎ করে সিদ্দিকুরের এসব সম্পদের মালিক হওয়ার রহস্য নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন মাদ্রাসাটির সাবেক অভিভাবক কমিটির সদস্য মাসুদ পাঠান।বলেন তিন,মাদ্রাসার অর্থ লোপাট করে শিক্ষক-কর্মচারীদের ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে তিনি নামে বেনামে ভূমিক্রয় করছেন। এসবের দুদকের তদন্ত দাবী করেছেন তিনি।
এ ব্যাপারে সিদ্দিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,তার সম্পদের উৎস সরকারি কোনো কর্তৃপক্ষ জানতে চাইলে তিনি জানাবেন। মাদ্রাসার ফান্ডের অর্থ আত্মসাধের বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির উপর দায় চাপান তিনি।