শাস্তির তালিকা বাতিল ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে কুয়েট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)-এ শিক্ষার্থীরা একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর দাবির পাশাপাশি শাস্তির তালিকা বাতিল ও বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনে নেমেছে।
বুধবার (১৫ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। এরপর বেলা দেড়টায় যোহরের নামাজের পর কুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. হযরত আলী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এবং তাদের ধৈর্য ধরার অনুরোধ জানান।
বেলা ২টার দিকে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, “পুরনো ভিসির পদত্যাগের পরও আগের ‘প্রহসনমূলক’ তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে আমাদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ পাঠানো হচ্ছে। বারবার আমাদের ওপর স্থানীয়দের হামলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনকি শিক্ষকরা ক্লাস নিতে চাইলেও চাপের মুখে শিক্ষক সমিতি থেকে পদত্যাগ করছেন, যা কুয়েটের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে।”
তারা বলেন, “আমরা স্পষ্টভাবে বলছি—এই তদন্ত রিপোর্ট নিরপেক্ষ নয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তি দিতে একটি চক্র সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে। এটি আমাদের ন্যায্য দাবির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।”
শিক্ষার্থীরা দাবী জানান- ১. পূর্বের শাস্তির তালিকা বাতিল করতে হবে। ২. একটি নতুন, নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। ৩. ১৮ ফেব্রুয়ারির শিক্ষকদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। ৪. একাডেমিক কার্যক্রম (ক্লাস ও পরীক্ষা) দ্রুত শুরু করতে হবে। ৫. শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, তারা আগামী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস থেকেই ক্লাসে ফিরে যেতে চান। তবে এর জন্য প্রশাসনকে দ্রুত সময়সীমাসহ একটি রোডম্যাপ দিতে হবে।
বিকেল ৫টায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মিছিল সহকারে ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের দপ্তরে যান এবং সম্মিলিতভাবে শোকজ নোটিশের জবাব হস্তান্তর করেন।
১৮ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পর থেকে কুয়েটের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীদের দাবি, আন্দোলনের নেপথ্যে তাদের শিক্ষকদের উপর হামলার সঠিক বিচার না হওয়া এবং আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে একতরফা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।