ঢাকা ১০:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শতাধিক বন্যহাতির হামলায় ২৫ গ্রামে ফসল-ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

জাকিরুল ইসলাম বাবু, জামালপুর::

ছবি: সংগৃহীত

জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের অন্তত ২৫টি গ্রামে বন্যহাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গভীর রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত শতাধিক হাতি কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

স্থানীয়রা জানান, ভারতের মেঘালয়ের বনাঞ্চল থেকে খাবারের সন্ধানে হাতির দল সীমান্ত পেরিয়ে ধান, কলা, আদা, হলুদসহ মৌসুমী ফসল নষ্ট করছে এবং গাছপালা ভেঙে ফেলছে। অনেক জায়গায় কাঁচা ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রায় ১৫ বছর ধরে সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের আক্রমণ নিয়মিত ঘটছে। ময়মনসিংহ বন বিভাগের তথ্যমতে, ১৯৯৫ সাল থেকে চলতি বছরের ৫ জুলাই পর্যন্ত এ অঞ্চলে বন্যহাতির আক্রমণে ৭০ জন নিহত ও প্রায় এক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। একই সময়ে মানুষের হাতে মারা পড়েছে ৩৯টি হাতি।

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবি, বন্যহাতি প্রতিরোধে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি, না হলে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদের জীবনযাত্রা আরও সংকটে পড়বে।

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৮:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫
৫১৮ বার পড়া হয়েছে

শতাধিক বন্যহাতির হামলায় ২৫ গ্রামে ফসল-ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

আপডেট সময় ০৮:৩৩:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫

জামালপুরের বকশীগঞ্জ ও শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের অন্তত ২৫টি গ্রামে বন্যহাতির তাণ্ডব অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) গভীর রাত থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত শতাধিক হাতি কয়েক দলে বিভক্ত হয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করে ফসল ও ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

স্থানীয়রা জানান, ভারতের মেঘালয়ের বনাঞ্চল থেকে খাবারের সন্ধানে হাতির দল সীমান্ত পেরিয়ে ধান, কলা, আদা, হলুদসহ মৌসুমী ফসল নষ্ট করছে এবং গাছপালা ভেঙে ফেলছে। অনেক জায়গায় কাঁচা ঘরবাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

প্রায় ১৫ বছর ধরে সীমান্ত এলাকায় এ ধরনের আক্রমণ নিয়মিত ঘটছে। ময়মনসিংহ বন বিভাগের তথ্যমতে, ১৯৯৫ সাল থেকে চলতি বছরের ৫ জুলাই পর্যন্ত এ অঞ্চলে বন্যহাতির আক্রমণে ৭০ জন নিহত ও প্রায় এক হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। একই সময়ে মানুষের হাতে মারা পড়েছে ৩৯টি হাতি।

বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রস্তুতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এলাকাবাসীর দাবি, বন্যহাতি প্রতিরোধে সরকার ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগ জরুরি, না হলে সীমান্তবর্তী পাহাড়ি জনপদের জীবনযাত্রা আরও সংকটে পড়বে।