লাখাই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে দুঃসাহসিক চুরি, থানায় জিডি
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাতে সংঘটিত এ ঘটনায় থানায় মামলা না করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে, যা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
জনস্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে অফিস সহায়ক মোঃ মর্তুজ আলী অফিসে এসে দেখেন ৪টি তালা ভাঙা। পরে তিনি সহকারী উপ-প্রকৌশলী মোর্শেদ আলমকে অবহিত করেন। অফিসে প্রবেশ করে দেখা যায়, একটি ল্যাপটপ, একটি কম্পিউটার, প্রিন্টার ও ইউপিএস চুরি হয়েছে। এসব সরঞ্জামের বাজারমূল্য প্রায় দেড় লাখ টাকা।
উপজেলা জনস্বাস্থ্য সহকারী উপ-প্রকৌশলী মোর্শেদ আলম জানান, “অফিস সহায়কের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে আমি অফিসে আসি এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করি। কর্তৃপক্ষের পরামর্শে থানায় জিডি করেছি (জিডি নং-৭৩৪, তারিখ ১৯ আগস্ট)।”
তাকে প্রশ্ন করা হলে কেন ফৌজদারি অপরাধের ঘটনায় নিয়মিত মামলা নয়, শুধু জিডি করা হলো— তিনি বলেন, “উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই জিডি করেছি।”
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম দাশ অনুপ বলেন, “আমি মোর্শেদ আলমকে বলেছি ওসির পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা নিতে।”
লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ বন্দে আলী জানান, “লিখিত জিডি নেওয়া হয়েছে, তাই সেটি ভুক্ত করা হয়েছে।”
ঘটনার পর জেলা জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী তাহমিনা তানজীন এর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন ব্যস্ত থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, সরকারি অফিসে দুঃসাহসিক চুরির মতো ঘটনায় শুধু জিডি দায়সারা ব্যবস্থা হতে পারে না। তারা সঠিক তদন্ত ও চুরি হওয়া সরঞ্জাম উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন।