ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে সরকারি টিউবওয়েল থেকে পানি উঠছে না, চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

এম এ ওয়াহেদ, লাখাই, হবিগঞ্জ::

লাখাই উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্থাপন করা গভীর ও অগভীর নলকূপ (সরকারি টিউবওয়েল) থেকে পানি না ওঠায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। টিউবওয়েলগুলো বসানোর পর থেকেই সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সারা বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় বসানো এসব টিউবওয়েল থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পানি উঠছে না। এতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ পানির অভাবে পড়েছে চরম সমস্যায়।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে চারটি ধাপে উপজেলায় ৪৯২টি গভীর ও ১৩২টি অগভীর নলকূপ বসানো হয়েছিল। তবে কাজের মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণেই অধিকাংশ টিউবওয়েল অকেজো হয়ে গেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

ভাদিকারা গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, “দুই বছর আগে আমার বাড়িতে একটি গভীর নলকূপ বসানো হয়। শুরু থেকেই সেখানে গোলা পানি আসতো। পরে একদমই পানি ওঠা বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি জনস্বাস্থ্য অফিসকে জানালে তারা বলে, সময় গেলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। এখন পরিবারসহ আশপাশের লোকজন বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছি। অফিসে যোগাযোগ করলে তারা ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করতে বলেছে।”

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য সহকারী উপ-প্রকৌশলী মো. মুর্শিদ আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য উপ-প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরা ঠিকাদারের মাধ্যমে নলকূপ বসানোর পর পরীক্ষা করি এবং সঠিকভাবে পানি ওঠে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার পরই বিল পরিশোধ করি। এক বছরের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে আমরা দায়িত্ব নিই। তবে এক বছরের বেশি সময় পর সমস্যা দেখা দিলে সেটির দায়িত্ব থাকে ব্যবহারকারীদের।”

তিনি আরও বলেন, “তবে কেউ যদি সহায়তা চান, আমাদের অফিস সম্ভাব্য সাহায্য করতে প্রস্তুত।”

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৬:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
৫২১ বার পড়া হয়েছে

লাখাইয়ে সরকারি টিউবওয়েল থেকে পানি উঠছে না, চরম ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

আপডেট সময় ০৬:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

লাখাই উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের স্থাপন করা গভীর ও অগভীর নলকূপ (সরকারি টিউবওয়েল) থেকে পানি না ওঠায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয়রা। টিউবওয়েলগুলো বসানোর পর থেকেই সেগুলো অকেজো হয়ে পড়ে আছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সারা বাংলাদেশ প্রকল্পের আওতায় বসানো এসব টিউবওয়েল থেকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে পানি উঠছে না। এতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে নারী ও শিশুরা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ পানির অভাবে পড়েছে চরম সমস্যায়।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে চারটি ধাপে উপজেলায় ৪৯২টি গভীর ও ১৩২টি অগভীর নলকূপ বসানো হয়েছিল। তবে কাজের মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। ঠিকাদারের গাফিলতির কারণেই অধিকাংশ টিউবওয়েল অকেজো হয়ে গেছে বলে দাবি ভুক্তভোগীদের।

ভাদিকারা গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, “দুই বছর আগে আমার বাড়িতে একটি গভীর নলকূপ বসানো হয়। শুরু থেকেই সেখানে গোলা পানি আসতো। পরে একদমই পানি ওঠা বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি জনস্বাস্থ্য অফিসকে জানালে তারা বলে, সময় গেলে ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো সমাধান হয়নি। এখন পরিবারসহ আশপাশের লোকজন বিশুদ্ধ পানির সংকটে রয়েছি। অফিসে যোগাযোগ করলে তারা ৮-১০ হাজার টাকা খরচ করতে বলেছে।”

এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য সহকারী উপ-প্রকৌশলী মো. মুর্শিদ আলমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তৎকালীন দায়িত্বপ্রাপ্ত জনস্বাস্থ্য উপ-প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “আমরা ঠিকাদারের মাধ্যমে নলকূপ বসানোর পর পরীক্ষা করি এবং সঠিকভাবে পানি ওঠে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার পরই বিল পরিশোধ করি। এক বছরের মধ্যে কোনো সমস্যা হলে আমরা দায়িত্ব নিই। তবে এক বছরের বেশি সময় পর সমস্যা দেখা দিলে সেটির দায়িত্ব থাকে ব্যবহারকারীদের।”

তিনি আরও বলেন, “তবে কেউ যদি সহায়তা চান, আমাদের অফিস সম্ভাব্য সাহায্য করতে প্রস্তুত।”

উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এমন অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে জনগণের দুর্ভোগ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহল।