ঢাকা ০৮:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে বিলুপ্তির পথে সোনালী আশ পাট

এম.এ ওয়াহেদ::

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বিলুপ্তির পথে সোনালী আশ। কোন এক সময় প্রতিটি গ্রামে প্রতিটি কৃষক সোনালী পাট চাষে খুব আগ্রহি ছিল। বর্তমানে এলাকার কৃষকরা এই সোনালী পাট চাষে অনাগ্রহ দেখা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় কৃষকরা এই সোনালী পাট চাষে অনাগ্রহের কারন হিসাবে কৃষকরা জানান পাট চাষে কায়ীক পরিশ্রম ও অর্থ খরচ বেশী শুধু তা নয় পাট চাষ করে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার মূল কারন। এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ বছর সোনালী পাট চাষে লাখাই উপজেলায় লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হেক্টর জমি সোনালী পাট চাষের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু এ বছর পাট চাষাবাদ হয়েছে ৩৫ হেক্টর। কৃষকরা পাট চাষে অনাগ্রহের কারন কি জানতে চাইলে তিনি জানান,সময় মতো বিভিন্ন খাল নালাতে পানির সল্পতা ও ধান ও শাস হিসেবে চাষাবাদ আগ্রহ বাড়ায় পাট চাষে কৃষকের পাট চাষে অনিহা তবে বর্তমানে পাটের কিছু উন্নত জাত বিজেআরআই তোষা ৮(রবি-১)এসেছে যার ফলন তুলনামূলক বেশী, অল্প দিনে পাট গাছ কাটা যায়। আশের গুনগত মান ভালো। পানি ছাড়া পাটের আশ ছাড়ানো পদ্ধতি (রিপন বেটিং) আবিষ্কার হয়েছে।এ ছাড়া ইদানীং কালে পরিবেশ বান্ধব পাটজাত কে পণ্য ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে তাই আগামীতে পাটের আবাদ বাড়বে বলে আমি আশাবাদী।

এ ব্যাপারে মশাদিয়া গ্রামের মো. অহিদ মিয়া এ প্রতিনিধি কে জানান আমি এ বছর বেশ কয়েক বিঘা জমিতে দেশী ও বিদেশী জাতের পাট চাষ করেছি। আমি আশাবাদী এ বছর ভাল ফলন হবে। কৃষকগন পাট চাষে আগ্রহ নেই কেন প্রশ্ন করলে তিনি জানান ১ বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে হালচাষ ও জমিতে নিড়ানি দিতে গিয়ে খরচ হয় ৮ হাজার টাকা। কিন্তু পাট উৎপাদন হয় প্রতি বিঘা জমিতে ৮ মন যাহার বর্তমান বাজার মূল্য ১৬ হাজার টাকা। শুধু তা নয় ১ বিঘা জমির পাটকাটি বিক্রি করা যায় ৩ হাজার টাকা।

তিনি আরো জানান এ বছর আমি পাট চাষ করতে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছি। তিনি আরো বলেন আমি আশা করব আমার উপজেলার প্রতিটি কৃষক যেন পাট চাষে আগ্রহি হয়ে উঠে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৭:১১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪
৫২২ বার পড়া হয়েছে

লাখাইয়ে বিলুপ্তির পথে সোনালী আশ পাট

আপডেট সময় ০৭:১১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০২৪

হবিগঞ্জের লাখাইয়ে বিলুপ্তির পথে সোনালী আশ। কোন এক সময় প্রতিটি গ্রামে প্রতিটি কৃষক সোনালী পাট চাষে খুব আগ্রহি ছিল। বর্তমানে এলাকার কৃষকরা এই সোনালী পাট চাষে অনাগ্রহ দেখা যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায় কৃষকরা এই সোনালী পাট চাষে অনাগ্রহের কারন হিসাবে কৃষকরা জানান পাট চাষে কায়ীক পরিশ্রম ও অর্থ খরচ বেশী শুধু তা নয় পাট চাষ করে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ার মূল কারন। এ ব্যাপারে লাখাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাকিল খন্দকারের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এ বছর সোনালী পাট চাষে লাখাই উপজেলায় লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ৪০ হেক্টর জমি সোনালী পাট চাষের আওতায় আনা হয়েছে। কিন্তু এ বছর পাট চাষাবাদ হয়েছে ৩৫ হেক্টর। কৃষকরা পাট চাষে অনাগ্রহের কারন কি জানতে চাইলে তিনি জানান,সময় মতো বিভিন্ন খাল নালাতে পানির সল্পতা ও ধান ও শাস হিসেবে চাষাবাদ আগ্রহ বাড়ায় পাট চাষে কৃষকের পাট চাষে অনিহা তবে বর্তমানে পাটের কিছু উন্নত জাত বিজেআরআই তোষা ৮(রবি-১)এসেছে যার ফলন তুলনামূলক বেশী, অল্প দিনে পাট গাছ কাটা যায়। আশের গুনগত মান ভালো। পানি ছাড়া পাটের আশ ছাড়ানো পদ্ধতি (রিপন বেটিং) আবিষ্কার হয়েছে।এ ছাড়া ইদানীং কালে পরিবেশ বান্ধব পাটজাত কে পণ্য ব্যবহারে আগ্রহ বাড়ছে তাই আগামীতে পাটের আবাদ বাড়বে বলে আমি আশাবাদী।

এ ব্যাপারে মশাদিয়া গ্রামের মো. অহিদ মিয়া এ প্রতিনিধি কে জানান আমি এ বছর বেশ কয়েক বিঘা জমিতে দেশী ও বিদেশী জাতের পাট চাষ করেছি। আমি আশাবাদী এ বছর ভাল ফলন হবে। কৃষকগন পাট চাষে আগ্রহ নেই কেন প্রশ্ন করলে তিনি জানান ১ বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে হালচাষ ও জমিতে নিড়ানি দিতে গিয়ে খরচ হয় ৮ হাজার টাকা। কিন্তু পাট উৎপাদন হয় প্রতি বিঘা জমিতে ৮ মন যাহার বর্তমান বাজার মূল্য ১৬ হাজার টাকা। শুধু তা নয় ১ বিঘা জমির পাটকাটি বিক্রি করা যায় ৩ হাজার টাকা।

তিনি আরো জানান এ বছর আমি পাট চাষ করতে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়েছি। তিনি আরো বলেন আমি আশা করব আমার উপজেলার প্রতিটি কৃষক যেন পাট চাষে আগ্রহি হয়ে উঠে।