ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে নানা অভিযোগ আলোচিত শিক্ষক সুভাষ এর বিরুদ্ধে

এম.এ ওয়াহেদ::
লাখাইয়ের আলোচিত শিক্ষক সুভাষ আচার্য্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মেরঅভিযোগ রয়েছে।  উপজেলার গুনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ আচার্য্যের বিরুদ্ধে  নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘদিন যাবত তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর সাথে জড়িত থাকায় পাঠদানের ক্ষেত্রে প্রায়শই যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেন না।সকাল ৯ টায় কর্মক্ষেত্রে আগমনের কথা থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই ১০ – ১১ টার পূর্বে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে দেখা যায় না।একজন লেটকামার শিক্ষক হিসাবে তিনি আলোচিত। কর্মস্থল লাখাইয়ের গুনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলেও স্থানীয় বুল্লাবাজার এলাকায় প্রাশ সময়ই  সকাল ১০-১-৩০ মিনিটে বাইক নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।
 তিনি একাধারে কবি,আবৃত্তিকার ও সংগীত প্রশিক্ষণ হওয়ায় তাঁকে বিদ্যালয় কামাই করে এসব কর্মকান্ডে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়।
পতিত সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর মেয়েকে গানের শিক্ষক এর দায়ীত্ব পালন এর সুবাদে তার  আস্থাভাজন ব্যক্তি হওয়ার সুবাদে তিনি দীর্ঘদিন যাবত নানাবিধ সুযোগ সুবিধা আদায় করেছেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।
আরোও জানা যায় প্রভাবশালীদের নেক নজরে থাকায় সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেননি।এতে তিনি আরোও ব্যপরোয়া হয়ে উঠেন।
একটি সূত্রে আরোও জানা যায় নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত করে আসছেন। এছাড়াও তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমির খন্ডকালীন প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করে আসছেন। এছাড়া একটি এনজিও সংস্থায় খণ্ডকালীন কাজ করেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।
সূত্রে আরোও জানা যায় সুভাষ আচার্য নিজেকে সুভাষ ঠাকুর বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
এদিকে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের অভ্যাস করতে না পারায় বা কোন পরিবর্তন সাধিত না হওয়ায় এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক সুভাষ আচার্যের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে তার সাথে  আলাপকালে জানান  আমি শিল্পকলাএকাডেমির খণ্ডকালীন প্রশিক্ষক।এছাড়া হবিগঞ্জ থেকে বাইক যোগে কর্মস্থলে পৌঁছাতে মাঝে মধ্যে কিছুটা বিলম্ব হয়ে থাকে। একটি এনজিও সংস্থায় কাজ করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান আমি কোন এনজিও সংস্থায় যুক্ত নই।
ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১০:২৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫০৭ বার পড়া হয়েছে

লাখাইয়ে নানা অভিযোগ আলোচিত শিক্ষক সুভাষ এর বিরুদ্ধে

আপডেট সময় ১০:২৯:৩০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
লাখাইয়ের আলোচিত শিক্ষক সুভাষ আচার্য্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মেরঅভিযোগ রয়েছে।  উপজেলার গুনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুভাষ আচার্য্যের বিরুদ্ধে  নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘদিন যাবত তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এর সাথে জড়িত থাকায় পাঠদানের ক্ষেত্রে প্রায়শই যথাসময়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে পারেন না।সকাল ৯ টায় কর্মক্ষেত্রে আগমনের কথা থাকলেও প্রায় প্রতিদিনই ১০ – ১১ টার পূর্বে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে দেখা যায় না।একজন লেটকামার শিক্ষক হিসাবে তিনি আলোচিত। কর্মস্থল লাখাইয়ের গুনিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হলেও স্থানীয় বুল্লাবাজার এলাকায় প্রাশ সময়ই  সকাল ১০-১-৩০ মিনিটে বাইক নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়।
 তিনি একাধারে কবি,আবৃত্তিকার ও সংগীত প্রশিক্ষণ হওয়ায় তাঁকে বিদ্যালয় কামাই করে এসব কর্মকান্ডে ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা যায়।
পতিত সরকারের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এর মেয়েকে গানের শিক্ষক এর দায়ীত্ব পালন এর সুবাদে তার  আস্থাভাজন ব্যক্তি হওয়ার সুবাদে তিনি দীর্ঘদিন যাবত নানাবিধ সুযোগ সুবিধা আদায় করেছেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।
আরোও জানা যায় প্রভাবশালীদের নেক নজরে থাকায় সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তাঁর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেননি।এতে তিনি আরোও ব্যপরোয়া হয়ে উঠেন।
একটি সূত্রে আরোও জানা যায় নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নিয়ে তিনি নিজেকে সম্পৃক্ত করে আসছেন। এছাড়াও তিনি জেলা শিল্পকলা একাডেমির খন্ডকালীন প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করে আসছেন। এছাড়া একটি এনজিও সংস্থায় খণ্ডকালীন কাজ করেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।
সূত্রে আরোও জানা যায় সুভাষ আচার্য নিজেকে সুভাষ ঠাকুর বলে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন।
এদিকে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি তাঁর দীর্ঘদিনের অভ্যাস করতে না পারায় বা কোন পরিবর্তন সাধিত না হওয়ায় এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শিক্ষক সুভাষ আচার্যের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করে তার সাথে  আলাপকালে জানান  আমি শিল্পকলাএকাডেমির খণ্ডকালীন প্রশিক্ষক।এছাড়া হবিগঞ্জ থেকে বাইক যোগে কর্মস্থলে পৌঁছাতে মাঝে মধ্যে কিছুটা বিলম্ব হয়ে থাকে। একটি এনজিও সংস্থায় কাজ করেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান আমি কোন এনজিও সংস্থায় যুক্ত নই।