লাখাইয়ে নদীনালা, খাল দখল ও অবৈধ মাটি কর্তনের মহোৎসব চলছে, প্রশাসন নির্বিকার
লাখাই উপজেলার সরকারি খাল, নদী ও নালা দখল ও অবৈধ মাটি কর্তনের মহোৎসব চলছে। দীর্ঘদিন ধরে এই দখলদারিত্ব চলে আসলেও সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। মাঝে মাঝে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হলে সাময়িকভাবে মাটি ভরাট বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে আইন থাকলেও আইনানুগ ব্যবস্থা না নেওয়ায় দখলকারীরা পুনরায় তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে।
এ পরিস্থিতিতে লাখাই উপজেলার হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খাল, সুতাং নদীসহ উপজেলা জুড়ে সরকারের খাল-নদী দখলের রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় অবৈধ দখলকারীদের কাছে যেন কোনো ভয় নেই।
সরজমিনে পরিদর্শন কালে দেখা যায়, প্রশাসনের নাকের ডগায় উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে খাল ও নদী দখলের কাজ চলছে। উপজেলা পরিষদের শূন্য কিলোমিটার থেকে শুরু করে বামৈ তিন পুল পর্যন্ত, এবং বেকীটেকা ব্রিজ পর্যন্ত হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশের খাল মাটি ভরাট করে দখল করছে দখলদাররা।
এছাড়া, বুল্লা হইতে গুনিপুর সড়কের মধ্য সিংহগ্রাম সড়কের ঋষি পল্লী সংলগ্ন সড়কের পাশের খালের অংশ বিশেষ মাটি ভরাট করে দখল করছে সিংহগ্রামের আশেক এলাহি নামের এক ফার্মেসি ব্যবসায়ী। একইভাবে, উপজেলার বুল্লা বাজার সংলগ্ন সুতাং নদীর পাড় মাটি ভরাট করে দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে বজলুর রহমানের পুত্র আলমগীর মিয়া।
এছাড়াও, হবিগঞ্জ-লাখাই আঞ্চলিক মহাসড়কের কামড়াপুর ব্রিজের পশ্চিম দিকে হোসাইন নামের এক ব্যক্তি সরকারি খাল দখল করে মাটি ভরাট করে সেখানে বিট তৈরি করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাশ জানান, “আমি বর্তমানে হবিগঞ্জে একটি মিটিংয়ে আছি। আমাকে লোকেশন দিলে, আমি লাখাইয়ে ফিরে গিয়ে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”