ঢাকা ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

লাখাইয়ে একজনকে দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা

এম এ ওয়াহেদ লাখাই::

লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। কাংখিত সেবা থেকে বঞ্চিত চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা। দীর্ঘদিন ধরে আসছে পদ সংকট। খোঁজ নিয়ে জানা যায় লাখাই উপজেলার লোক সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮১১ জন লোক সংখ্যার বিপরীতে মাত্র একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা যায় চিকিৎসক সংকট এর কারনে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগীর সাথে আলাপ কালে তারা জানান, এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক সংকট এর কারনে আমরা কাংখিত সেবা থেকে হরহামেশা বঞ্চিত হতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক সংকট সহ আরো অনেক পদ শূন্য রয়েছে ফলে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্যক্রম।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা.কাজী শামসুল আরেফীন এর সাথে আলাপ কালে তিনি এ প্রতিনিধি কে বলেন আমি এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করার পর থেকেই শূন্য পদ সংকটে যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু শূন্য পদ পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বার বার চিঠি চালাচালি করেও এর কোন সমাধান হচ্ছে না। চিকিৎসক সংকট এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক পদ সংখ্যা ৯ টি কিন্তু বর্তমানে আছে মাত্র একজন।

তিনি আরো জানান, ২০১৩ সালে ডাক্তার অসিত রায় ২০১৬ সালে ডাক্তার রেজাউল ইসলাম ও ২০১৯ সাল থেকে ডাক্তার নাহিদ চৌধুরী সুমন , ২০২৩ সালে ডাক্তার সাদিয়া আফরোজ অননুমোদিত অনুপস্থিত রয়েছে কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাদের পদ কেন শূন্য দেখাচ্ছেন না। তিনি বলেন বি এস আর সার্ভিস রুল মতে কোন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি অননুমোদিত টানা ৫ বছর অনুপস্থিত থাকে তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কেন কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না

এ বিষয়ে আমার বোধগম্য হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন আমার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার অপর্না সুত্রধর ব্যতিত আর কোন ডাক্তার নেই তবে মোড়াকরি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সাব সেন্টারে দায়ীত্বরত ডাক্তার একে এম মঞ্জুরুল আহসান ও করাব ইউনিয়ন সাব সেন্টারে দায়ীত্বরত ডাক্তার অনন্যা রায় কে দিয়ে কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।

অপর দিকে ঔ ইউনিয়ন সাব সেন্টারে সেবা নিতে আসা রোগীরা কাংখিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত হলেও বর্তমানে চলছে ৩১ শয্যার আদলে।

উপজেলার সুশীল সমাজ সহ ভুক্তভোগী রোগীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবী জানিয়ে তারা বলেন লাখাই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের শূন্য পদ পূরণ সহ জনবল বৃদ্ধির দাবী জানান।

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৬:২১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
৫১০ বার পড়া হয়েছে

লাখাইয়ে একজনকে দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা

আপডেট সময় ০৬:২১:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। কাংখিত সেবা থেকে বঞ্চিত চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা। দীর্ঘদিন ধরে আসছে পদ সংকট। খোঁজ নিয়ে জানা যায় লাখাই উপজেলার লোক সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৮১১ জন লোক সংখ্যার বিপরীতে মাত্র একটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। খোঁজ নিয়ে জানা যায় চিকিৎসক সংকট এর কারনে ব্যহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা কয়েকজন রোগীর সাথে আলাপ কালে তারা জানান, এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক সংকট এর কারনে আমরা কাংখিত সেবা থেকে হরহামেশা বঞ্চিত হতে হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক সংকট সহ আরো অনেক পদ শূন্য রয়েছে ফলে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের কার্যক্রম।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা.কাজী শামসুল আরেফীন এর সাথে আলাপ কালে তিনি এ প্রতিনিধি কে বলেন আমি এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করার পর থেকেই শূন্য পদ সংকটে যাবতীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি কিন্তু শূন্য পদ পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে বার বার চিঠি চালাচালি করেও এর কোন সমাধান হচ্ছে না। চিকিৎসক সংকট এর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসক পদ সংখ্যা ৯ টি কিন্তু বর্তমানে আছে মাত্র একজন।

তিনি আরো জানান, ২০১৩ সালে ডাক্তার অসিত রায় ২০১৬ সালে ডাক্তার রেজাউল ইসলাম ও ২০১৯ সাল থেকে ডাক্তার নাহিদ চৌধুরী সুমন , ২০২৩ সালে ডাক্তার সাদিয়া আফরোজ অননুমোদিত অনুপস্থিত রয়েছে কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় তাদের পদ কেন শূন্য দেখাচ্ছেন না। তিনি বলেন বি এস আর সার্ভিস রুল মতে কোন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী যদি অননুমোদিত টানা ৫ বছর অনুপস্থিত থাকে তা হলে তাদের বিরুদ্ধে কেন কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না

এ বিষয়ে আমার বোধগম্য হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন আমার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার অপর্না সুত্রধর ব্যতিত আর কোন ডাক্তার নেই তবে মোড়াকরি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সাব সেন্টারে দায়ীত্বরত ডাক্তার একে এম মঞ্জুরুল আহসান ও করাব ইউনিয়ন সাব সেন্টারে দায়ীত্বরত ডাক্তার অনন্যা রায় কে দিয়ে কোন রকম জোড়াতালি দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।

অপর দিকে ঔ ইউনিয়ন সাব সেন্টারে সেবা নিতে আসা রোগীরা কাংখিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তিনি আরো বলেন এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নিত হলেও বর্তমানে চলছে ৩১ শয্যার আদলে।

উপজেলার সুশীল সমাজ সহ ভুক্তভোগী রোগীরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে দাবী জানিয়ে তারা বলেন লাখাই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারের শূন্য পদ পূরণ সহ জনবল বৃদ্ধির দাবী জানান।