লাখাইয়ে আউশধান আবাদে ব্যস্ত কৃষক, কাঙ্ক্ষিত ফলনে আশাবাদী
হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় আউশধান আবাদে ব্যস্ত কৃষক। লাখাইয়ের ঐতিহ্যবাহী ফসল আউশ ধান চাষাবাদ করতে কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন।
একদিকে বোরোধান কাটা শেষ হচ্ছে অন্য দিকে সেই জমি ও আউশধান রোপনের কাজ চলছে। এক সময় বোনা আমন ধান ও আউশধান এর উপর নির্ভরশীল কৃষকেরা আজ কালের বিবর্তনে সময়ের ব্যবধানে রোপা আমনে ঝুকছে কৃষক ।আউশধান বোনা ও রোপন এ দুইভাবে চাষ করা গেলেও বর্তমানে নন- হাওরের যে এলাকায় বোনা আমন ও বোনা আউশধান আবাদ হতো সে জমিতে বর্তমানে আবাদ হচ্ছে রোপা আউশধান।
বোরোধান এর জাত উন্নয়ন এর আউশধান এর আবাদে এসেছে উফসী জাতের আউশধান। বাংলাদেশ সরকারের ধান গবেষণা কেন্দ্র ও বীনার উদ্ভাবিত উফসী জাতের আউশধান ব্রীধান-৮২,৮৫,৯৮, ও ৪৮ জাতের ধান সহ বিভিন্ন জাতের উচ্চ ফলনশীল আউশধান আবাদ করায় কৃষককূল লাভবান হওয়ায় তাদের আউশ চাষে আগ্রহ বাড়ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় চলতি বছর লাখাইয়ে আউশধান এর আবাদের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ২ হাজার হেক্টর। এরই মধ্যে আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৫ শত হেক্টর জমি।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ মাহমুদুল হাসান মিজান এর সাথে আলাপ কালে তিনি ভোরের ডাক কে বলেন লাখাইয়ের ঐতিহ্যবাহী ফসল আউশধান আবাদ দিন দিন বেড়েই চলছে এবং উফসী জাতের আউশধান আবাদ হওয়ায় ফলনও পাচ্ছে আশানুরূপ তাই বোরোর পর পরই আউশধান আবাদ করছে কৃষক। লাখাই উপজেলা একটি বৃষ্টি প্রবন অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার আউশধান আবাদে খরচ অপেক্ষাকৃত কম হওয়ায় লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশী । এ বিষয়ে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। বন্যা ও খরার কবল থেকে রক্ষা পাওয়া গেলে আউশধান আবাদ এ লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আমি আশাবাদী।