ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবে বিপর্যয়ের মুখে পরিবেশ ও কৃষিজমি

লাখাইয়ে অবৈধ বালু-মাটি উত্তোলন

এম এ ওয়াহেদ, লাখাই, হবিগঞ্জ::

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবে দিন দিন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সারা উপজেলায় চলছে সরকারি খাল, বিল ও নদীনালা ভরাট এবং দখল বাণিজ্য। এর ফলে একদিকে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার ফসলি জমি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি খাল ভরাট করে ব্যক্তিগত জমির সঙ্গে মিশিয়ে বসতবাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে। এতে সরকারি সম্পত্তি চলে যাচ্ছে সাধারণ জনগণের দখলে। এসব বিষয় বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও, স্থানীয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকার কারণে অবৈধ দখলদার ও বালু-মাটি উত্তোলনকারীরা হয়ে উঠেছে আরও বেপরোয়া।

বিশেষ করে মোড়াকরি ইউনিয়নের জিরুন্ডা গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিমের হাওরে দৃশ্যমানভাবে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার মিজান মিয়া নামে এক ড্রেজার মালিক, স্থানীয় প্রবাসী লোকমান মিয়ার সহায়তায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন। এতে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য হচ্ছে, আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার ফসলি জমি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাস অনুপ জানান, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত প্রশাসনের জোরালো পদক্ষেপ না নিলে পরিবেশ ও কৃষি উভয়ই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৯:০৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
৫৫৬ বার পড়া হয়েছে

কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবে বিপর্যয়ের মুখে পরিবেশ ও কৃষিজমি

লাখাইয়ে অবৈধ বালু-মাটি উত্তোলন

আপডেট সময় ০৯:০৬:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলায় অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। কার্যকরী পদক্ষেপের অভাবে দিন দিন পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সারা উপজেলায় চলছে সরকারি খাল, বিল ও নদীনালা ভরাট এবং দখল বাণিজ্য। এর ফলে একদিকে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা, অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে এলাকার ফসলি জমি।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি খাল ভরাট করে ব্যক্তিগত জমির সঙ্গে মিশিয়ে বসতবাড়ি নির্মাণের প্রতিযোগিতা চলছে। এতে সরকারি সম্পত্তি চলে যাচ্ছে সাধারণ জনগণের দখলে। এসব বিষয় বিভিন্ন সময়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও, স্থানীয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকার কারণে অবৈধ দখলদার ও বালু-মাটি উত্তোলনকারীরা হয়ে উঠেছে আরও বেপরোয়া।

বিশেষ করে মোড়াকরি ইউনিয়নের জিরুন্ডা গ্রামের দক্ষিণ-পশ্চিমের হাওরে দৃশ্যমানভাবে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন। জানা যায়, কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার মিজান মিয়া নামে এক ড্রেজার মালিক, স্থানীয় প্রবাসী লোকমান মিয়ার সহায়তায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলন করছেন। এতে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য হচ্ছে, আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এলাকার ফসলি জমি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনুপম দাস অনুপ জানান, “বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত প্রশাসনের জোরালো পদক্ষেপ না নিলে পরিবেশ ও কৃষি উভয়ই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে।