ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যারা সিটি কর্পোরেশন নষ্ট করেছেন, তাঁদের রাখতে চাই না

রাসিকের সম্পদ ফেরত দিলে ধন্যবাদ,না দিলে মামলা: রাসিক প্রশাসক

রাজশাহী প্রতিনিধি::

যাঁরা সিটি করপোরেশনকে নষ্ট করেছেন, তাঁদের দায়িত্বে রাখতে চান না তিনি। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাজশাহী সিটির নতুন প্রশাসক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড.দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ড.হুমায়ূন কবীর। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এ সময় তিনি সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

ড.হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘রাজশাহী সিটি করপোরেশনে স্থায়ী জনবল আছে ৩৫৩ জন। তাঁরা কাজ করবেন। যদি তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে, দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, তালিকা করে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। অস্থায়ী জনবল আছে ২ হাজার ৬৫৯ জন। তাঁদের নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে। যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁদের রাখা হবে না। আবার যাঁদের পাওয়া যাবে না, তাঁদেরও রাখা হবে না। মোট কথা, যাঁরা সিটি করপোরেশনকে নষ্ট করেছেন বা ভবিষ্যতে করতে পারেন, তাঁদের আমরা রাখতে চাই না। পদ্ধতি অনুসরণ করেই তাঁদের এখান থেকে বিদায় করা হবে।’

ড.হুমায়ূন কবীর আরও বলেন, প্রথম কাজ হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। আশার কথা হচ্ছে, এসব পরিবহনের একটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন চালু আছে, তবে এটি আগে কাউন্সিলরা অনুমোদন করতেন। এখন এটা কর্মকর্তারা দেখছেন। নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

লুট হওয়া নগর ভবনের সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হুমায়ূন কবীর বলেন, রাজশাহী নগর ভবনের সম্পদ কোনো দলের সম্পদ বা ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এখনো যদি কারও কাছে এই সম্পদ থেকে থাকে, যাতে তাঁরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দিয়ে যান। তখন তাঁদের ধন্যবাদ দেওয়া হবে। তাঁরা ব্যাপক প্রচার করবেন। কিন্তু যদি না দেওয়া হয়, পরে কারও কাছে এই সম্পদ পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। রাজশাহীর রাজনীতিবিদেরা তাঁকে জানিয়েছেন, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। এগুলো দুষ্কৃতকারীরা করেছে। এ বিষয়ে একটি জিডিও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিটি করপোরেশনে টেন্ডার ছাড়াই কাজ চলছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন প্রশাসক হুমায়ূন কবীর বলেন, সরকারি টাকায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে সেখানে নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার ডাকতে হবে। এর ব্যত্যয় হওয়া যাবে না। সে বিষয়ে যাচাই–বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে চারটি প্রকল্প চলমান। একটির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্যে যেগুলো যথাযথ আছে, সেগুলো চলমান থাকবে। অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো করা হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান প্রশাসক ছাড়া আর কেউ কথা বলেননি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন, সচিব মো. মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১২:৩১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪
৫১০ বার পড়া হয়েছে

যারা সিটি কর্পোরেশন নষ্ট করেছেন, তাঁদের রাখতে চাই না

রাসিকের সম্পদ ফেরত দিলে ধন্যবাদ,না দিলে মামলা: রাসিক প্রশাসক

আপডেট সময় ১২:৩১:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪

যাঁরা সিটি করপোরেশনকে নষ্ট করেছেন, তাঁদের দায়িত্বে রাখতে চান না তিনি। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান রাজশাহী সিটির নতুন প্রশাসক ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সিটি করপোরেশনের প্রশাসক ড.দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর।

মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের সিটি হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ড.হুমায়ূন কবীর। সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি। এ সময় তিনি সিটি করপোরেশনের কার্যক্রমে সবাইকে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।

ড.হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘রাজশাহী সিটি করপোরেশনে স্থায়ী জনবল আছে ৩৫৩ জন। তাঁরা কাজ করবেন। যদি তাঁদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকে, দুর্নীতির অভিযোগ থাকে, তালিকা করে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। অস্থায়ী জনবল আছে ২ হাজার ৬৫৯ জন। তাঁদের নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে। যাঁদের প্রয়োজন নেই, তাঁদের রাখা হবে না। আবার যাঁদের পাওয়া যাবে না, তাঁদেরও রাখা হবে না। মোট কথা, যাঁরা সিটি করপোরেশনকে নষ্ট করেছেন বা ভবিষ্যতে করতে পারেন, তাঁদের আমরা রাখতে চাই না। পদ্ধতি অনুসরণ করেই তাঁদের এখান থেকে বিদায় করা হবে।’

ড.হুমায়ূন কবীর আরও বলেন, প্রথম কাজ হলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। আশার কথা হচ্ছে, এসব পরিবহনের একটি গাড়িও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন চালু আছে, তবে এটি আগে কাউন্সিলরা অনুমোদন করতেন। এখন এটা কর্মকর্তারা দেখছেন। নাগরিকত্ব সনদ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

লুট হওয়া নগর ভবনের সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে হুমায়ূন কবীর বলেন, রাজশাহী নগর ভবনের সম্পদ কোনো দলের সম্পদ বা ব্যক্তিগত সম্পদ নয়। এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ। এখনো যদি কারও কাছে এই সম্পদ থেকে থাকে, যাতে তাঁরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে দিয়ে যান। তখন তাঁদের ধন্যবাদ দেওয়া হবে। তাঁরা ব্যাপক প্রচার করবেন। কিন্তু যদি না দেওয়া হয়, পরে কারও কাছে এই সম্পদ পাওয়া গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। রাজশাহীর রাজনীতিবিদেরা তাঁকে জানিয়েছেন, এগুলো কোনো রাজনৈতিক দলের কাজ নয়। এগুলো দুষ্কৃতকারীরা করেছে। এ বিষয়ে একটি জিডিও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

সিটি করপোরেশনে টেন্ডার ছাড়াই কাজ চলছে, এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন প্রশাসক হুমায়ূন কবীর বলেন, সরকারি টাকায় কোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে সেখানে নিয়ম অনুযায়ী টেন্ডার ডাকতে হবে। এর ব্যত্যয় হওয়া যাবে না। সে বিষয়ে যাচাই–বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে চারটি প্রকল্প চলমান। একটির মেয়াদ প্রায় শেষের দিকে। এর মধ্যে যেগুলো যথাযথ আছে, সেগুলো চলমান থাকবে। অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো করা হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধান প্রশাসক ছাড়া আর কেউ কথা বলেননি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ বি এম শরীফ উদ্দিন, সচিব মো. মোবারক হোসেন, প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাদিয়া আফরিন, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।