রামপালে বিএনপি নেতা ফিরোজ কবিরের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের নিন্দা
বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শেখ ফিরোজ কবিরের বিরুদ্ধ অপপ্রচারের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অসামাজিক কার্যকলাপের প্রতিবাদ করায় ফিরোজ কবিরের বিরুদ্ধে এক শ্রেণীর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
বড়দিয়া গ্রামের বাসিন্দারা জানান, উপজেলার বড়দিয়া গ্রামের আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা আ. কাদের একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ পান। ৭/৮ মাস পূর্বে কাদের সরকারি ওই ঘর পান। ঘর পাওয়ার পরে সে আবাসন এলাকার পরিবেশ নষ্টা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কয়েকদিন পূর্বে আ. কাদের মাদক সেবন করে বড়দিয়া গ্রামের তেমাথায় এসে মাতলামি শুরু করেন। এতে গ্রামবাসী বাঁধা দেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাকে থামাতে গেলে গ্রামবাসীর গায়ে হাত তোলে কাদের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড়দিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও বাশতলী ইউনিয়ন বিএনপি সেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি হাফিজুর রহমান নামের এক নেতাকে মারপিট করে। খবর পেয়ে রামপাল থানা পুলিশ কাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে বাগেরহাটের জেলা পুলিশ সুপার তৌহিদ আরিফ জামায়াত নেতাদের বিশেষ অনুরোধে তাকে ছেড়ে দেন। পরে কাদের কতিপয় লোকদের দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালায়। এতে সামাজিকভাবে বিএনপি নেতার মান সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ জানান।
অভিযোগের বিষয়ে আ. কাদেরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন, উপজেলা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোস্তফা কামাল পাটোয়ারি, সদস্য সচিব কাজী জাহিদুল ইসলাম, যুবদলের আহবায়ক মল্লিক জিয়াউল হক জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মাসুদুর রহমান পিয়াল, সদস্য সচিব আলমগীর কবির বাচ্চু, সেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক কাজী অজিয়ার রহমান, ছাত্রদলের সদ্য সাবেক আহবায়ক মোল্যা তরিকুল ইসলাম শোভন প্রমুখ।
রামপাল থানার ওসি মো. সেলিম রেজা জানান, কাদেরকে সতর্ক করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এরপরে বিএনপি নেতা ফিরোজ কবিরকে নিয়ে অপপ্রচারের সুযোগ নেই।