রাজশাহীর বেলপুকুরে ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেফতার
রাজশাহীর বাঘায় দায়ের করা ধর্ষণ মামলার একটিতে তুষার হোসেন (২২) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। তুষার হোসেন উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের মুক্তার হোসেনের ছেলে। বেলপুকুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে এখনও পলাতক রয়েছে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার আসামি জয় হোসেন (১৮)। সে বাঘা পৌরসভার চকছাতারি গ্রামের হানিফ মিস্ত্রির ছেলে।
জানা যায়, গত বুধবার (১৯ মার্চ ২০২৫) দুপুরে চকছাতারি গ্রামের জয় হোসেন নিজ গ্রামের এক চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীকে টাকার লোভ দেখিয়ে তার বাবার নির্মাণাধীন ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় শিক্ষার্থীর মা সেখানে পৌঁছালে জয় হোসেন পালিয়ে যায়।
ওইদিন রাতেই জয় হোসেনকে আসামি করে বাঘা থানায় মামলা দায়ের করেন শিক্ষার্থীর মা নার্গিস বেগম। পুলিশ শিক্ষার্থীর শারীরিক পরীক্ষাসহ চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে। বর্তমানে শিক্ষার্থীকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার বাবা মাজেদুল ইসলাম। তার মা হাসপাতালে তার সঙ্গে রয়েছেন।
সরেজমিনে শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে তার নানির সঙ্গে কথা হয়। পরে শিক্ষার্থীর বাবা জানান, বর্তমানে যে জায়গায় তারা বসবাস করছেন, সেটি তাদের নিজস্ব নয়। অনেক কষ্টে ১ কাঠা জমি কিনে থাকার জন্য ঘর নির্মাণ করেছেন। সেই ঘরেই তার শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ফাঁকা ঘরটিতে এখনো দরজা লাগানো হয়নি, চারপাশ টিনের বেড়া দিয়ে ঘেরা।
ধর্ষণ মামলার আসামি জয় হোসেনের বাড়ি শিক্ষার্থীর বাড়ি থেকে কিছু দূরে। সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির গেট ভেতর থেকে লাগানো। জয়ের দাদি ফরিদা জানান, মামলার পর থেকে জয় হোসেন বাড়িতে থাকছে না। একদিন আগে তার মা-বাবাও কোথায় চলে গেছেন।
এদিকে, গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত রোববার (১৬ মার্চ ২০২৫) হাবাসপুর গ্রামের তুষার হোসেনের বিরুদ্ধে গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ মামলায় তুষার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গৃহবধূর স্বামী সুজন আলী জানান, কাজের কারণে তিনি নিজ জেলার বাইরে, শরীয়তপুরে ছিলেন। তার মা ছাগল চরাতে মাঠে ছিলেন, আর বাড়িতে একা ছিলেন তার স্ত্রী। এই সুযোগে তুষার হোসেন বাড়িতে প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। শুক্রবার (১৪ মার্চ ২০২৫) এ ঘটনা ঘটে। পরে স্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন তিনি। বর্তমানে তার স্ত্রী বাবার বাড়ি রূপপুর-হরিরামপুরে অবস্থান করছেন। ৯ মাস আগে তারা বিয়ে করেছিলেন বলে জানান সুজন আলী।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আ.ফ.ম আছাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, মামলায় পলাতক আসামি জয় হোসেনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।