রাজশাহীর বাজারে এসেছে মৌসুমী লিচু: গরমে স্বস্তি দিচ্ছে এই সুস্বাদু ফল
রাজশাহীর বাজারে উঠেছে মৌসুমের প্রথম লিচু। রাস্তার পাশে, ফুটপাতে ও স্থানীয় বাজারগুলোতে বিক্রি হচ্ছে টাটকা, লালচে রঙের এই ফল। গরমে ক্লান্ত নগরবাসীর জন্য যেন এক পরম স্বস্তির বার্তা নিয়ে এসেছে এই সুস্বাদু ফল।
লিচু একমাত্র গ্রীষ্মকালীন ফল, যা বছরের এই সময়টিতে মাত্র একবার পাওয়া যায়। মিষ্টি রসালো স্বাদের জন্য দেশের সকল অঞ্চলে এর চাহিদা বেশ বেশি। রাজশাহীর লিচু বিশেষভাবে জনপ্রিয় এর স্বাদ ও গুণগত মানের জন্য।
শুধু স্বাদেই নয়, পুষ্টিগুণেও ভরপুর লিচু। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতে, নিয়মিত লিচু খাওয়ার রয়েছে নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা:
-
কোলেস্টেরল কমায়: লিচু শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়তা করে।
-
ভিটামিন সি-এর উৎস: এতে থাকা ভিটামিন সি ত্বক, দাঁত ও হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
-
ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়ক: লিচুতে থাকা ‘ফ্ল্যাভানয়েডস’ উপাদান স্তন ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
-
ত্বক উজ্জ্বল করে: পাকা লিচুতে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বককে উজ্জ্বল করে এবং বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: এতে থাকা পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে।
লিচুর পাশাপাশি রাজশাহীর বাজারে উঠেছে আনারস, ডাব ও অল্প পরিমাণে আম। প্রচণ্ড গরমে মানুষ স্বস্তি পেতে বেশি করে খাচ্ছেন ডাবের পানি ও আনারস। বিশেষত রোজার পরে ঈদের মৌসুমে এসব ফলের চাহিদা আরও বেড়ে গেছে।
বৈশাখ মানেই বাংলার ঘরে ঘরে ফলের উৎসব। গরমে এক চুমুক ডাবের পানি, এক কামড় মিষ্টি লিচু কিংবা একটি রসালো আনারস – এসব যেন প্রকৃতির দেওয়া এক অমৃত উপহার।
সত্যিই, এ যেন সৃষ্টিকর্তার এক অপার নিয়ামত – আমাদের কৃষকের ঘাম ঝরানো ফসলের মাধ্যমে সেই স্বাদ আমাদের টেবিলে পৌঁছে দেয়। তাই এ সময়টাতে মৌসুমী ফল খেয়ে সুস্থ থাকা ও দেশীয় ফলের প্রতি আগ্রহী হওয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব।