ঢাকা ০৭:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা

গোলাম কিবরিয়া পলাশ, রাজশাহী::

ছবি: চেকপোস্ট

রাজশাহী মহানগরী পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক শহর হিসেবে সুপরিচিত। এ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী পদ্মা নদী, যা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। নদীর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণপ্রেমীরা এখানে ছুটে আসেন।

পদ্মার পাড়জুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অনেক দোকান। চা, কফি, ফুচকা, চটপটি থেকে শুরু করে শিশুদের খেলনার দোকান পর্যন্ত নানা ধরনের ব্যবসা জমে উঠেছে এখানে। একবার যারা পদ্মার নির্মল বাতাসে সময় কাটাতে এসেছেন, তারা সহজে এই অভিজ্ঞতা ভুলতে পারেন না।

নদীর পাড়ঘেঁষে রয়েছে প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সরু রাস্তা, যেখানে প্রতিদিন সকাল-বিকেল হাঁটতে আসেন অসংখ্য মানুষ। গ্রীষ্মকালে পদ্মার পানি কিছুটা সরে গেলেও বর্ষায় নদী পূর্ণতা পায়, যা ভ্রমণকারীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

রাজশাহীতে রয়েছে বহুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, রুয়েটসহ নামকরা স্কুল-কলেজ। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অবসর সময় কাটাতে পদ্মার পাড়ে আসেন, যা এলাকাটিকে সবসময় প্রাণবন্ত রাখে। সবুজের সমারোহে ঘেরা এই পদ্মা নদীর পাড় এক মনোরম পরিবেশ গড়ে তুলেছে।

এছাড়া, মহান সাধক হযরত শাহ মখদম (রা.)-এর মাজার শরিফ পদ্মার পাড়েই অবস্থিত, যা ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত।

সব মিলিয়ে, পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও উন্নয়ন পরিকল্পনার অভাবে এই অঞ্চল এখনও পুরোপুরি বিকশিত হয়নি। সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ করা হলে রাজশাহীর পদ্মার পাড় হতে পারে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৮:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫
৫৯৪ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর পদ্মার পাড়ে পর্যটনের অপার সম্ভাবনা

আপডেট সময় ০৮:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫

রাজশাহী মহানগরী পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক শহর হিসেবে সুপরিচিত। এ শহরের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী পদ্মা নদী, যা এখানকার প্রধান আকর্ষণ। নদীর মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে ভ্রমণপ্রেমীরা এখানে ছুটে আসেন।

পদ্মার পাড়জুড়ে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অনেক দোকান। চা, কফি, ফুচকা, চটপটি থেকে শুরু করে শিশুদের খেলনার দোকান পর্যন্ত নানা ধরনের ব্যবসা জমে উঠেছে এখানে। একবার যারা পদ্মার নির্মল বাতাসে সময় কাটাতে এসেছেন, তারা সহজে এই অভিজ্ঞতা ভুলতে পারেন না।

নদীর পাড়ঘেঁষে রয়েছে প্রায় ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ সরু রাস্তা, যেখানে প্রতিদিন সকাল-বিকেল হাঁটতে আসেন অসংখ্য মানুষ। গ্রীষ্মকালে পদ্মার পানি কিছুটা সরে গেলেও বর্ষায় নদী পূর্ণতা পায়, যা ভ্রমণকারীদের জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করে।

রাজশাহীতে রয়েছে বহুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান—বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, রুয়েটসহ নামকরা স্কুল-কলেজ। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অবসর সময় কাটাতে পদ্মার পাড়ে আসেন, যা এলাকাটিকে সবসময় প্রাণবন্ত রাখে। সবুজের সমারোহে ঘেরা এই পদ্মা নদীর পাড় এক মনোরম পরিবেশ গড়ে তুলেছে।

এছাড়া, মহান সাধক হযরত শাহ মখদম (রা.)-এর মাজার শরিফ পদ্মার পাড়েই অবস্থিত, যা ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হিসেবে বিবেচিত।

সব মিলিয়ে, পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও উন্নয়ন পরিকল্পনার অভাবে এই অঞ্চল এখনও পুরোপুরি বিকশিত হয়নি। সঠিক পরিকল্পনা ও বিনিয়োগ করা হলে রাজশাহীর পদ্মার পাড় হতে পারে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র