রাজশাহীতে বিভাগীয় বৃক্ষমেলা শুরু: পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে জোর
“গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি” – এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে বিভাগীয় বৃক্ষমেলা। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও বন বিভাগের সহযোগিতায় আয়োজিত এই মেলা চলবে ২০ দিনব্যাপী।
মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক জনাব শামীম আহম্মেদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন আরএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বিজয় বসাক, রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নরেশ চাকমা, এবং বগুড়া অঞ্চলের বন বিভাগের সামাজিক বন সংরক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান শাহ স্বাগত বক্তব্যে বৃক্ষের গুরুত্ব, বর্তমান প্রেক্ষাপট ও বৃক্ষমেলার তাৎপর্য তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, “প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে বৃক্ষের অবদান অনস্বীকার্য। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়, পরিবেশ থেকে কার্বন-ডাই-অক্সাইড শোষণ করে জলবায়ু সুরক্ষায় সহায়তা করে। তাই বেশি করে ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ রোপণ করা জরুরি।”
তিনি প্রত্যেককে অন্তত তিনটি গাছের চারা রোপণের আহ্বান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ বলেন, “দেশীয় ফল গুলোর পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় ফল গাছ রক্ষায় নার্সারি মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে। স্থানীয় নার্সারিগুলো যেন এসব চারা উৎপাদন ও সরবরাহে অগ্রণী ভূমিকা রাখে, সে বিষয়ে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি।”
২০ দিনব্যাপী বৃক্ষমেলায় সামাজিক বন বিভাগ ও ব্যক্তিমালিকানাধীন নার্সারিসহ মোট ৬২টি স্টল অংশ নিয়েছে। উদ্বোধনী দিনে মেলায় উপস্থিত ছিলেন বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রায় ৮০০ কৃষক-কিষাণী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
আলোচনা শেষে উপকারভোগী ও ভূমি মালিক সমিতির মাঝে লভ্যাংশের চেক বিতরণ করা হয়। পরে অতিথিরা বৃক্ষমেলার স্টলগুলো পরিদর্শন করেন।