রাজশাহীতে নিখোঁজের ১৬ দিন পর কিশোর রেজোয়ানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীতে নিখোঁজের ১৬ দিন পর রেজোয়ান ইসলাম (১৪) নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে কাশিয়াডাঙ্গা থানা এলাকার নগরপাড়া তালপুকুর মহল্লার একটি অব্যবহৃত ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রেজোয়ান মহানগরীর লিলি সিনেমা হল মোড় এলাকার রিকশাচালক বাবু ইসলামের ছেলে।
রাজশাহী মহানগরীর দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, মামলার প্রধান আসামি পাপ্পুর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রেজোয়ানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহটি ইতোমধ্যে পচে গন্ধ ছড়াতে শুরু করেছিল এবং মুখমণ্ডলে ইট দিয়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পাপ্পুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। নিহত রেজোয়ানের স্বজন ও প্রতিবেশিরা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে।
ওসি রবিউল ইসলাম জানান, গত ২৩ মার্চ দুপুরে স্কুল ছুটি থাকার পর প্রতিবেশী পাপ্পু রেজোয়ানকে সঙ্গে নিয়ে গোদাগাড়ীর কাকনহাটে যায়। এরপর থেকে রেজোয়ান নিখোঁজ ছিল এবং অটো রিকশাটিরও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।
ঘটনার পরদিনই রেজোয়ানের বাবা বাবু ইসলাম দামকুড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি পাপ্পু ও তার ভাই পিয়াস (২০), পবার হরিপুর এলাকার রাসেল (৪০), মানিক (২২) ও রিপনকে গ্রেফতার করে। সোমবার (৭ এপ্রিল) তাদের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
রিমান্ডে পাপ্পু ও তার সহযোগীরা জানায়, মূলত অটোরিকশাটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই রেজোয়ানকে হত্যা করা হয়েছে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত রেজোয়ানের পরিবার এ নির্মম হত্যাকাণ্ডে জড়িত সকল অপরাধীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে।