চাষিরা জানান, গত বছর তুলনামূলকভাবে মুকুল কম এসেছিল, তবে এবার অধিকাংশ গাছে আগেভাগেই মুকুল দেখা দিয়েছে। এরই মধ্যে অনেক গাছের সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে মুকুল।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, কুয়াশার পর রোদ থাকলে মুকুল আরও সতেজ হবে। কুয়াশার প্রভাব কমাতে চাষিদের কিছু ছত্রাকনাশক কীটনাশক ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর বিভিন্ন আমবাগান, বিশেষ করে বুধপাড়া, পবা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলার বাগানগুলোতে আগাম মুকুল এসেছে। চাষিরা জানান, মুকুল ঠিকঠাক থাকলে এবছর আমের ভালো ফলন হবে। নিমপাড়া ইউনিয়নের কালুহাটি গ্রামের চাষি বাহাদুর রহমান বলেন, “দুই বছর ধরে মুকুল না আসায় কিছু গাছ কেটে ফেলতে হয়েছিল। এবার আগেভাগেই মুকুল আসায় ভালো ফলনের আশা করছি।”
জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ ও নাটোর জেলায় এবছর ৯৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্ভাব্য উৎপাদন লক্ষ্য প্রায় সাড়ে ১২ লাখ মেট্রিক টন। রাজশাহী জেলায় ১৭ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান রয়েছে।
ফড়িয়ারাও বিভিন্ন বাগানে ঘুরতে শুরু করেছেন। তারা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মুকুল দেখে বাগান কেনা শুরু হবে।
চাষিরা বিশ্বাস করেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবং সঠিক যত্ন নেওয়া গেলে এবছর আমের বাম্পার ফলন হবে।