রাছিনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনিয়মের অভিযোগে পুনঃতদন্তের দাবি
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার রাছিনগর মামুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুপ্রীতি রাণী তালুকদার ও সহকারী শিক্ষক তাহেরা বেগমের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গ, অসদাচরণ এবং অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের পুনঃতদন্তের আবেদন করেছেন অভিভাবক কমিটির সাবেক সভাপতি কাজিম উদ্দিন বাবলু।
গত ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে কাজিম উদ্দিন বাবলু জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। পরে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামানকে।
তদন্ত শেষে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হলেও অভিযোগকারী কাজিম উদ্দিন বাবলু এবং এলাকার জনগণ এ তদন্ত নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা অভিযোগ করেন, তদন্তে পক্ষপাতমূলক আচরণ করা হয়েছে এবং সত্য ঘটনা আড়াল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) কাজিম উদ্দিন বাবলু সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে পুনঃতদন্তের আবেদন করেন। আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, “সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করেছেন। তার দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদন সঠিক নয় এবং তিনি অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করেননি।”
কাজিম উদ্দিন বাবলু আরও অভিযোগ করেন, একজন সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইইএলটিএস এবং ভর্তির কাগজপত্রে ভুয়া তথ্যের প্রমাণ থাকলেও তদন্তে তা অস্বীকার করা হয়েছে।
সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, “আমি অভিযোগকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম, তবে তিনি ঢাকায় অবস্থান করায় উপস্থিত হতে পারেননি। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে প্রতিবেদন জমা দিয়েছি। পুনঃতদন্ত হলে এতে আমার আপত্তি নেই, বরং সত্য প্রকাশ পেলে তা সবার জন্যই ভালো হবে।”
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস বলেন, “অভিযোগকারী যদি তদন্তে সন্তুষ্ট না হন, তবে পুনঃতদন্তের আবেদন গ্রহণ করা হবে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখব।”
তাহিরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আউয়াল বলেন, “স্কুলটি আমি নিজে পরিদর্শন করব। অভিযোগের বিষয়গুলো পুনঃবিবেচনা করা হবে।”
অভিযোগকারী ও এলাকাবাসী তদন্তের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে একটি নিরপেক্ষ ও গভীর পুনঃতদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তারা এই ঘটনায় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।