ঢাকা ০২:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যেসব আলামতে চেনা যাবে লাইলাতুল কদর

ইসলাম ডেস্ক::

ছবি: প্রতিকী

লাইলাতুল কদর, যা আল্লাহর বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ রাত হিসেবে পরিচিত, মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুরআনের সুরা কদর (আয়াত ১-৫) এ রাতের অমূল্য ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এই রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন, এবং তাদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী শান্তির বার্তা নিয়ে আসেন, যা সূর্যোদয় পর্যন্ত বিরাজ করে। তাই মুসলমানদের জন্য এই রাতে ইবাদত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নবী করিম (সা.) রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করার জন্য বলেছেন। তাঁর হাদিস অনুযায়ী, লাইলাতুল কদর রমজানের একুশ, বাইশ, পঁচিশ, সাতাশ, বা উনত্রিশ তারিখে হতে পারে। তবে সাতাশ রমজানে লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কারণ কুরআনে লাইলাতুল কদর শব্দটি তিনটি জায়গায় এসেছে এবং শব্দটিতে মোট নয়টি অক্ষর রয়েছে, যা তিন দ্বারা গুণ করলে সাতাশ আসে।

লাইলাতুল কদরের আলামত বা চিহ্ন হিসেবে কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। সেগুলি হল:

১. রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না। ২. রাতটি নাতিশীতোষ্ণ হবে। ৩. মৃদ বাতাস প্রবাহিত থাকবে। ৪. সে রাতে ইবাদত করে মানুষ তৃপ্তিবোধ করবে। ৫. কোনো ইমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে এ রাত সম্পর্কে জানিয়ে দিতে পারেন। ৬. ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে। ৭. সকালে সূর্যোদয় হবে হালকা আলোকরশ্মিসহ, যা পূর্ণিমার চাঁদের মতো হবে।

উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে, তিনি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “যদি আমি জানি কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, তাহলে আমি কী দোয়া পড়ব?” উত্তরে রাসূল (সা.) বলেছেন, “তুমি বলো, ‘আল্লাহুমা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফ্ওয়া ফা’ফু আন্নী’। অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! আপনি অবশ্যই ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন’।” (তিরমিজি)

এই সব আলামত অনুসরণ করে মুসলমানদের উচিত রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা এবং এই রাতের ফজিলত লাভের জন্য বেশি বেশি ইবাদত করা

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৩:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
৫৩৭ বার পড়া হয়েছে

যেসব আলামতে চেনা যাবে লাইলাতুল কদর

আপডেট সময় ০৩:৩৬:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫

লাইলাতুল কদর, যা আল্লাহর বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ রাত হিসেবে পরিচিত, মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুরআনের সুরা কদর (আয়াত ১-৫) এ রাতের অমূল্য ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, এটি হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এই রাতে ফেরেশতারা পৃথিবীতে নেমে আসেন, এবং তাদের প্রভু মহান আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী শান্তির বার্তা নিয়ে আসেন, যা সূর্যোদয় পর্যন্ত বিরাজ করে। তাই মুসলমানদের জন্য এই রাতে ইবাদত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

নবী করিম (সা.) রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করার জন্য বলেছেন। তাঁর হাদিস অনুযায়ী, লাইলাতুল কদর রমজানের একুশ, বাইশ, পঁচিশ, সাতাশ, বা উনত্রিশ তারিখে হতে পারে। তবে সাতাশ রমজানে লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কারণ কুরআনে লাইলাতুল কদর শব্দটি তিনটি জায়গায় এসেছে এবং শব্দটিতে মোট নয়টি অক্ষর রয়েছে, যা তিন দ্বারা গুণ করলে সাতাশ আসে।

লাইলাতুল কদরের আলামত বা চিহ্ন হিসেবে কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। সেগুলি হল:

১. রাতটি গভীর অন্ধকারে ছেয়ে যাবে না। ২. রাতটি নাতিশীতোষ্ণ হবে। ৩. মৃদ বাতাস প্রবাহিত থাকবে। ৪. সে রাতে ইবাদত করে মানুষ তৃপ্তিবোধ করবে। ৫. কোনো ইমানদার ব্যক্তিকে আল্লাহ স্বপ্নে এ রাত সম্পর্কে জানিয়ে দিতে পারেন। ৬. ওই রাতে বৃষ্টি বর্ষণ হতে পারে। ৭. সকালে সূর্যোদয় হবে হালকা আলোকরশ্মিসহ, যা পূর্ণিমার চাঁদের মতো হবে।

উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিসে, তিনি আল্লাহর রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “যদি আমি জানি কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, তাহলে আমি কী দোয়া পড়ব?” উত্তরে রাসূল (সা.) বলেছেন, “তুমি বলো, ‘আল্লাহুমা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফ্ওয়া ফা’ফু আন্নী’। অর্থাৎ, ‘হে আল্লাহ! আপনি অবশ্যই ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দিন’।” (তিরমিজি)

এই সব আলামত অনুসরণ করে মুসলমানদের উচিত রমজানের শেষ দশকের বিজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করা এবং এই রাতের ফজিলত লাভের জন্য বেশি বেশি ইবাদত করা