যুগ যুগ ধরে বাঁশের নানান ব্যবহার, রাজশাহীতে বেড়েছে চাহিদা ও দাম
বাংলাদেশের প্রাচীন ও বহুমুখী গাছ বাঁশ যুগ যুগ ধরে মানুষের দৈনন্দিন কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় এখনও চোখে পড়ে রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা বাঁশের আড়ত।
রাজশাহীর এক বাঁশ ব্যবসায়ী জানান, গ্রামাঞ্চলে এখনো বাঁশের প্রচলন ব্যাপক। ঘরবাড়ি নির্মাণ, টং ঘর, বেড়া, বরজ, এমনকি নির্মাণশিল্পে বাঁশের ব্যবহার অপরিহার্য। বিশেষ করে রাজমিস্ত্রিরা বাড়ি নির্মাণের সময় বাঁশ ব্যবহার করেন সেন্টারিং ও মাচা তৈরির কাজে।
রাজশাহীর মৌগাছি এলাকায় প্রচুর পরিমাণে পান চাষ হয়। এই পানের বরজ তৈরিতে সবচেয়ে বেশি বাঁশ প্রয়োজন হয়। ফলে মৌগাছি অঞ্চলে বাঁশের চাহিদা তুলনামূলক বেশি।
বাঁশ ব্যবসায়ী আরও বলেন, “বর্তমানে বাঁশের দাম অনেক বেড়েছে। প্রতিটি বাঁশ কিনতে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত লাগে। ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলোতে ট্রাকযোগে বাঁশ সরবরাহ করা হচ্ছে।”
তিনি জানান, গ্রামের দিকে এখনো কিছু বাঁশঝাড় দেখা গেলেও আগের মতো সংখ্যায় নেই। তবুও চাহিদা কমেনি, বরং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ব্যবহার বেড়েই চলেছে।
পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও বহুমুখী ব্যবহারের কারণে বাঁশ এখনও গ্রামীণ জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রয়োজন শুধু সঠিক পরিকল্পনায় এর চাষ ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা।