মেয়র হতে নয়, ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য মামলার লড়াই করছি -নজরুল ইসলাম মঞ্জু
খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) সাবেক মেয়র প্রার্থী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন, “মেয়র হওয়ার উদ্দেশ্যে নয়, আমি মামলা করেছি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আদালতে প্রমাণ হোক, ভোট কারচুপি হয়েছে—এটাই আমার মূল দাবি।”
আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) খুলনা আদালত চত্বরে মামলার শুনানি শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
২০১৮ সালের ১৫ মে অনুষ্ঠিত কেসিসির চতুর্থ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বিজয়ী হন। নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বিএনপি প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। এরপর ২০১৮ সালের ১১ জুলাই নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন তিনি। দীর্ঘ সময় মামলাটি ঝুলে থাকার পর ২০২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বিবাদীদের সমন জারির মাধ্যমে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়।
আজকের শুনানিতে বিবাদী পক্ষ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন, ফলে শুনানি আবার পিছিয়ে যায়। শুনানি শেষে এখনো কোনো রায় বা সিদ্ধান্ত দেননি আদালত।
মঞ্জু বলেন, “আদালত যদি আমাকে মেয়র ঘোষণা করেন, সেক্ষেত্রে মন্ত্রণালয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। তবে যেহেতু পরিষদের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ, তাই আমি দায়িত্ব পাব কি না, সেটা বড় কথা নয়-আমি চাই জালিয়াতির বিচার হোক।”
প্রসঙ্গত, কেসিসির পঞ্চম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২৩ সালের ১২ জুন, যেখানে তালুকদার আব্দুল খালেক পুনরায় মেয়র নির্বাচিত হন। তবে গত বছর গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের পর ১৯ আগস্ট মেয়র এবং ২৬ সেপ্টেম্বর কেসিসির সকল কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এ প্রসঙ্গে এক আইনজীবী বলেন, “যেহেতু মেয়াদের সময় শেষ, তাই মামলায় জয়ী হলেও বাস্তবে মেয়রের দায়িত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে ন্যায়বিচারের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ লড়াই।”