মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ‘সরকার পতনের মুহূর্ত’ উদযাপন
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত বছরের এই দিনে গণআন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-এমন ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণ করে আজ (৫ আগস্ট) রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে হাজারো জনতা উদযাপন করেছেন ‘সরকার পতনের দিন’।
বিরূপ আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জড়ো হতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক কর্মী, তরুণ-তরুণী, ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
দুপুর ২টার পর থেকে উপস্থিত জনতার হাতে দেখা যায় জাতীয় পতাকা, পোস্টার, ব্যানার এবং প্রতীকী হেলিকপ্টার-আকৃতির গ্যাস বেলুন—যা শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়ার ‘মুহূর্ত’কে প্রতীকায়িত করে।
ঘড়ির কাঁটায় যখন বাজে ২টা ২৫ মিনিট, তখনই সমবেত জনতা একযোগে শ্লোগান দেন “পালাইছে রে পালাইছে, শেখ হাসিনা পালাইছে!” বেশ কয়েক মিনিট ধরে এই শ্লোগান চলে, পরিবেশ হয়ে ওঠে আবেগপ্রবণ ও উদ্দীপনাময়।
চট্টগ্রাম থেকে আসা শিক্ষার্থী আশফাক বলেন, “গত বছর গণভবনে যেতে পারিনি, কিন্তু টেলিভিশন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছি মানুষের আবেগ-ভালোবাসা। এবার অংশ নিতে পেরে গর্বিত।”
মিরপুরের বাসিন্দা হুমাইরা বলেন, “গত বছর এই দিনে রাস্তায় বের হতে ভয় পেয়েছিলাম। আজ মনে হচ্ছে আমরা একটা নতুন সময় পার করছি—ভয়হীন, আশাবাদী সময়।”
এদিন দুপুর ১২টায় ‘সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী’র পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানমালা।
প্রথম পরিবেশনায় তারা পরিবেশন করে ওস্তাদ তোফাজ্জেল হোসেনের লেখা “এই দেশ আমার বাংলাদেশ, আমার ভালোবাসা”।
দিনব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে থাকবে দেশের খ্যাতনামা শিল্পীদের একক ও দলীয় পরিবেশনা, ব্যান্ড সংগীত, নাট্য উপস্থাপনা ও ঐতিহাসিক ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ।
ড্রোনের মাধ্যমে পরিচালিত বিশেষ নাট্য পরিবেশনাও আয়োজনের আকর্ষণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে।
অনুষ্ঠানটি রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।