ঢাকা ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মাধবপুরে সাংবাদিক ও পুলিশের ভরসাস্থল শ্রমিকলীগ নেতা সেলিম মিয়া!

চেকপোস্ট ডেস্ক::

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সামান্য একটি ব্যবসা দিয়ে জীবন চালান উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা সেলিম মিয়া।সে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করে সাংবাদিক ও পুলিশকে দিয়ে সুনাম কুড়াচ্ছেন।মাধবপুর থানা ও প্রেসক্লাবের সামনেই দোকান।বাড়ি উপজেলার আন্দিউরা ইউপির মীরনগর গ্রামে। উপজেলার খুটিনাটি অনেক বিষয়ের তার সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডার থাকায় অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকগণ তার কাছে ভীড়তে দেখা যায়।পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের তথ্যের ঋণ রয়েছে তার কাছে।

তার মানবিক কর্মকান্ড ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসী প্রতিবাদের সুনাম রয়েছে উপজেলা জুড়ে।যে কারণে হবিগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগ সামান্য ব্যবসায়ী হলেও পরোপকারী এই সাহসী মানুষটিকে মাধবপুর উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দিয়েছেন।শুধু শ্রমিকদেরই নয় উপজেলার যে কোন সমস্যাগ্রস্থ মানুষ তার কাছে আসলে তিনি সমাধান করতে না পারলেও সমাধানের পথ দেখিয়ে দেন।নিজের পকেটের টাকা দিয়ে আর্থিক সহযোগিতা এমন এমন অহরহ নজির রয়েছে তার।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদেরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তিনি। ঝুঁকিপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের বিতরণে তার অনন্যসাধারণ প্রতিভা রয়েছে।এটিকে যেন তার পেশা ও নেশা বলা চলে।
সম্প্রতি তার গ্রামে হতদরিদ্র গোলাম হোসেনের ৪০ শতক ভূমি ভূমি-দস্যুদের কবল থেকে তার নিজের উদ্যোগে আইনি লড়াই করে উদ্ধার করে দেন।

এলাকায় এক চোরকে গণধোলায়ে নিহতের ঘটনায় শের আলী নামে এলাকার নির্দোষ এক লোককে নিরপরাধ প্রমাণের জন্য মানববন্ধন ও লেখালেখি করলে পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম ভূঁইয়া মামলার চার্জশীট থেকে অব্যাহতি দেন। এ ঘটনায় ওই এসআই তার ভূয়োশী প্রশংসাও করেন করেন।

এ ছাড়া তার গ্রামের নজু মিয়া নামে এক ভূমিহীন হতদরিদ্রকে এসিল্যান্ডের সহযোগিতায় স্থানীয় হরিশ্যামা আশ্রয়ন প্রকল্পে গৃহ পেতে সহযোগিতা করে।

শুধু তাই নয় এলাকার বড় বড় অন্যায়ের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে তার সাহসের প্রশংসা করেন বিশিষ্টজনেরা।তারা জানাচ্ছেন,স্নাতক-স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাস করেও শিক্ষিত লোকেরা যা পারেন না মোটামুটি শিক্ষিত সেলিম মিয়া সেসব কাজ করে এলাকায় নতুন ট্রেন্ড তৈরি করেছেন।তার কর্মকান্ড দেখে অনেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখেছে আর অসহায় দুর্বলের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সহযোগিতার কাজে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

এ নিয়ে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ মাধবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, আসলে তার তথ্যের ঋণ শোধ করার মতো নয়।সে আমাদের ভালো একজন সোর্স বলা চলে। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।

মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এরশাদ আলী মন্তব্য করেন,সেলিম মিয়া আসলে মানবিক কর্মকান্ড করতে মজা পায়।এমন লোক আমাদের সমাজে বাড়লে,আমাদের সমাজে সুশাসন ফিরে আসবে।

মাধবপুর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সৈয়দ হাবিবুর রহমান মন্তব্য করেন,সেলিম মিয়া নিরহংকারী মানুষ।তার রয়েছে অনেক ব্যতিক্রমী প্রতিভা।উপজেলা শ্রমিকলীগ সব সময় তার ভালো কাজগুলোতে উৎসাহ যোগিয়া আসছে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০১:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪
৫২১ বার পড়া হয়েছে

মাধবপুরে সাংবাদিক ও পুলিশের ভরসাস্থল শ্রমিকলীগ নেতা সেলিম মিয়া!

আপডেট সময় ০১:৫২:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

হবিগঞ্জের মাধবপুরে সামান্য একটি ব্যবসা দিয়ে জীবন চালান উপজেলা শ্রমিকলীগ নেতা সেলিম মিয়া।সে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করে সাংবাদিক ও পুলিশকে দিয়ে সুনাম কুড়াচ্ছেন।মাধবপুর থানা ও প্রেসক্লাবের সামনেই দোকান।বাড়ি উপজেলার আন্দিউরা ইউপির মীরনগর গ্রামে। উপজেলার খুটিনাটি অনেক বিষয়ের তার সমৃদ্ধ তথ্য ভান্ডার থাকায় অনেক পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকগণ তার কাছে ভীড়তে দেখা যায়।পুলিশ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের তথ্যের ঋণ রয়েছে তার কাছে।

তার মানবিক কর্মকান্ড ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসী প্রতিবাদের সুনাম রয়েছে উপজেলা জুড়ে।যে কারণে হবিগঞ্জ জেলা শ্রমিকলীগ সামান্য ব্যবসায়ী হলেও পরোপকারী এই সাহসী মানুষটিকে মাধবপুর উপজেলা শ্রমিকলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দিয়েছেন।শুধু শ্রমিকদেরই নয় উপজেলার যে কোন সমস্যাগ্রস্থ মানুষ তার কাছে আসলে তিনি সমাধান করতে না পারলেও সমাধানের পথ দেখিয়ে দেন।নিজের পকেটের টাকা দিয়ে আর্থিক সহযোগিতা এমন এমন অহরহ নজির রয়েছে তার।
গোয়েন্দা কর্মকর্তাদেরও অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন তিনি। ঝুঁকিপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সাংবাদিকদের বিতরণে তার অনন্যসাধারণ প্রতিভা রয়েছে।এটিকে যেন তার পেশা ও নেশা বলা চলে।
সম্প্রতি তার গ্রামে হতদরিদ্র গোলাম হোসেনের ৪০ শতক ভূমি ভূমি-দস্যুদের কবল থেকে তার নিজের উদ্যোগে আইনি লড়াই করে উদ্ধার করে দেন।

এলাকায় এক চোরকে গণধোলায়ে নিহতের ঘটনায় শের আলী নামে এলাকার নির্দোষ এক লোককে নিরপরাধ প্রমাণের জন্য মানববন্ধন ও লেখালেখি করলে পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শাহ আলম ভূঁইয়া মামলার চার্জশীট থেকে অব্যাহতি দেন। এ ঘটনায় ওই এসআই তার ভূয়োশী প্রশংসাও করেন করেন।

এ ছাড়া তার গ্রামের নজু মিয়া নামে এক ভূমিহীন হতদরিদ্রকে এসিল্যান্ডের সহযোগিতায় স্থানীয় হরিশ্যামা আশ্রয়ন প্রকল্পে গৃহ পেতে সহযোগিতা করে।

শুধু তাই নয় এলাকার বড় বড় অন্যায়ের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ করতে তার সাহসের প্রশংসা করেন বিশিষ্টজনেরা।তারা জানাচ্ছেন,স্নাতক-স্নাতকোত্তর ডিগ্রি পাস করেও শিক্ষিত লোকেরা যা পারেন না মোটামুটি শিক্ষিত সেলিম মিয়া সেসব কাজ করে এলাকায় নতুন ট্রেন্ড তৈরি করেছেন।তার কর্মকান্ড দেখে অনেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে শিখেছে আর অসহায় দুর্বলের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিক সহযোগিতার কাজে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।

এ নিয়ে তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ মাধবপুর থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুর রহমান আতিক বলেন, আসলে তার তথ্যের ঋণ শোধ করার মতো নয়।সে আমাদের ভালো একজন সোর্স বলা চলে। আমরা তার মঙ্গল কামনা করি।

মাধবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও নব-নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ এরশাদ আলী মন্তব্য করেন,সেলিম মিয়া আসলে মানবিক কর্মকান্ড করতে মজা পায়।এমন লোক আমাদের সমাজে বাড়লে,আমাদের সমাজে সুশাসন ফিরে আসবে।

মাধবপুর উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি সৈয়দ হাবিবুর রহমান মন্তব্য করেন,সেলিম মিয়া নিরহংকারী মানুষ।তার রয়েছে অনেক ব্যতিক্রমী প্রতিভা।উপজেলা শ্রমিকলীগ সব সময় তার ভালো কাজগুলোতে উৎসাহ যোগিয়া আসছে।