মাধবপুরে রূপচাঁদার নামে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রি
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার শাহজাহানপুর ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বাজারে রূপচাঁদা মাছের নামে নিষিদ্ধ রাক্ষুসে পিরানহা মাছ বিক্রির ঘটনা ঘটছে। এই মাছগুলো ১-২ কেজি ওজনের, এবং প্রতিকেজি ২০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ক্রেতারা মাছটি সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় রূপচাঁদা মনে করে পিরানহা মাছ কিনে নিচ্ছেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বাজার থেকে এক ব্যক্তি ৩ কেজি পিরানহা মাছ ১ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে যান। তাকে যখন জানানো হলো এটি রূপচাঁদা নয়, নিষিদ্ধ পিরানহা, তিনি বিষয়টি এড়িয়ে দ্রুত স্থান ত্যাগ করেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারে হরেক রকম মাছের সঙ্গে পিরানহা মাছ বিক্রি করছেন কয়েকজন বিক্রেতা। মাছগুলোর দাঁত মানুষের দাঁতের মতো এবং শরীর মাংসে ভরপুর। বিক্রেতারা দাবি করছেন, এটি সমুদ্রের রূপচাঁদা মাছ এবং দাম কম হওয়ায় ক্রেতাদের চাহিদা বেশি।
মাধবপুর উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা আবু আসাদ ফরিদুল হক জানিয়েছেন, পিরানহা মাছ দেখতে রূপচাঁদার মতো হলেও এটি অত্যন্ত রাক্ষুসে। এটি জলজ পরিবেশের জন্য হুমকি। পিরানহা অন্য মাছ ও জলজ প্রাণীদের খেয়ে ফেলে। এমনকি অবরুদ্ধ স্থানে কোনো মানুষ পড়লে পিরানহার ঝাঁক সেই ব্যক্তিকে মুহূর্তেই সাবাড় করতে পারে।
তিনি আরও জানান, দেশীয় জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকার ও মৎস্য অধিদপ্তর পিরানহা মাছের চাষ, উৎপাদন এবং বাজারে বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। শাহজাহানপুর বাজারে পিরানহা বিক্রির বিরুদ্ধে শিগগিরই অভিযান চালিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক দেবানন্দ সিনহা বলেছেন, পিরানহা মাছ বিক্রি বন্ধে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। তবে কিছু বিক্রেতা লুকিয়ে এই মাছ বিক্রি করছে। এমন খবর পেলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
স্থানীয় জনগণ এই অবৈধ কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।