মাধবপুরে গৃহবধূ হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী সোহাগ গ্রেফতার
হবিগঞ্জের মাধবপুরে কচুরিপানার নিচ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের হওয়া গৃহবধূ হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বামী সোহাগ মিয়া রমজানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) র্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে. এম. শহিদুল ইসলাম সোহাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ এর শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প এবং র্যাব-১০ এর কেরানীগঞ্জ ক্যাম্পের একটি যৌথ দল সোমবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ঝিলমিল এলাকার একটি পাম্পের সামনে অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সোহাগ মিয়া রমজান (২৭) হবিগঞ্জের মাধবপুর পৌরসভার কলেজপাড়া এলাকার মৃত আব্দুল হাসেমের ছেলে।
ভিকটিম মোছাঃ মাইশা আক্তার (১৬) হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নের হাড়িয়া গ্রামের মো. বিল্লাল মিয়ার মেয়ে। প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে মাধবপুর পৌরসভার কলেজপাড়ার সোহাগ মিয়ার সঙ্গে মাইশার কোর্ট ম্যারেজ হয়।
বিয়ের পর থেকেই পারিবারিক কলহ ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছিলেন মাইশা। অভিযোগ রয়েছে, স্বামী সোহাগসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন।
গত ১৮ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোহাগ মিয়া মাইশার বোনকে ফোন করে জানায়, মাইশা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেছে। এরপর আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
চার দিন পর, ২২ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে মাইশার বাবা জানতে পারেন—সোহাগ মিয়ার বাড়ির পাশে একটি ডোবায় কচুরিপানার নিচে একটি নারীর মরদেহ ভাসছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি মরদেহটি তার মেয়ে মাইশার বলে শনাক্ত করেন।
মাইশা তখন ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পুলিশ তার মরদেহের পাশাপাশি মৃত ও আংশিক পচা ভ্রুণও উদ্ধার করে।
পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা মাধবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন, যেখানে সোহাগ মিয়াকে প্রধান আসামি করা হয়।
র্যাব জানায়, সোহাগ পলাতক অবস্থায় আত্মগোপন করছিল। তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় তার অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে মাধবপুর থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।