মাদারগঞ্জ উপজেলার ১ নং চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ এবং চেয়ার ও মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৭ টায় তেঘরিয়া সাহেদ আলী হাইস্কুল এন্ড কলেজ মাঠে এই সহিংসতা ঘটে।
দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ্ মোঃ মজনু মিয়া এবং গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনের প্রস্ততি প্রায় সম্পন্ন হলেও মঞ্চ ও প্রধান গেট ছাড়া সবকিছু প্রস্তুত ছিল।
শাহ্ মোঃ মজনু ফকির, ১ নং চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক এবং সভাপতি প্রার্থী জানান, সম্মেলনটি জুম্মার নামাজ পর শুরু হওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেন, “আমরা রাতে প্যান্ডেলের কাজ সম্পন্ন করে বিএনপির অফিসে অবস্থান করছিলাম, এরপরই শুনতে পাই, মুখলেছ-বিপ্লব তরফদারের নেতৃত্বে ২০-৩০ জন লোক হঠাৎ করেই মাদ্রাসা গেট দিয়ে ঢুকে প্যান্ডেলের মঞ্চ তছনছ করে, ককটেল মারে, পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। আমরা প্রতিরোধ করি, পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করেছে এবং এর সঠিক বিচার দাবি করি।”
অন্যদিকে, গোলাম কিবরিয়া বিপ্লব তরফদার, ১ নং চরপাকেরদহ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এবং সভাপতি প্রার্থী জানান, তিনি মিতালি বাজারে অবস্থান করছিলেন এবং জানতে পারেন, সম্মেলনস্থলে গিয়ে তাদের প্রতিনিধি দলের ওপর হামলা করা হয়। “এই হামলায় ৭ জন আহত হয়, তাদের মধ্যে ৪ জন বাড়ি ফিরে আসে এবং ৩ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে,” বলেন তিনি। এছাড়া, ৪/৫ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয় এবং ২টি মোটরসাইকেল হারিয়ে যায়।
এ ঘটনায়, বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ পক্ষ থেকে এসব হামলা চালানো হয়েছে এবং তারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং অভিযুক্তদের দল থেকে বহিষ্কারের আহ্বান জানিয়েছেন।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ওসি হাসান আল মামুন জানিয়েছেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে, তবে এ ব্যাপারে থানায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি।