ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মনের আনন্দে ধান কাটছেন কৃষক

মো: গোলাম কিবরিয়া, রাজশাহী প্রতিনিধি::

রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে কেশরহাটের পাশে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাকা জিরা ধানের সারি। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সোনালী রঙের আবরণ। এই সোনালি ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষকরা। মনের আনন্দে, গান গাইতে গাইতে মাঠের ধান কেটে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা।

সবুজে ঘেরা আমাদের এই শ্যামল দেশ। তার এক অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে ওঠে ধান কাটার দৃশ্যে। মাঠে কাটা ধান জমিতেই রাখা হয়, পরে সেগুলো ছোট ছোট আটি করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর বাড়িতে শুরু হয় ধান শুকানোর প্রক্রিয়া, তারপর মাড়াই। মাড়াইয়ের মাধ্যমে ধান আলাদা হয় গাছ থেকে। পরবর্তীতে ধান আবারও শুকানো হয় ভালোভাবে সংরক্ষণের জন্য।

ধানগাছ, অর্থাৎ পোয়াল বা খ্যার, কেউ গরুর খাবার হিসেবে জমা রাখে, আবার কেউ বিক্রি করে থাকেন স্থানীয় বাজারে। এসব কাজ সাধারণত গৃহিণীরাই সামলান। মাঠে কৃষক ব্যস্ত থাকেন ধান কাটা ও বহনের কাজে, আর গৃহিণী ব্যস্ত থাকেন ধান শুকানো, পশু-পাখির দেখভালসহ গৃহস্থালির অন্যান্য কাজে। এ যেন এক নিখুঁত পারিবারিক সহযাত্রা।

এই চিত্র না দেখলে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। প্রকৃতি, শ্রম আর হাসিমুখের এক অসাধারণ সম্মিলন দেখা যায় এই সময়টাতে।

গ্রামের সেই লাল মাটির পথ, ধানের গন্ধ, আর কৃষকের হাসিমুখ—সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করে রাখে। যেন অল্প সময়ের জন্য হলেও হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই মাটির কাছে, সেই মানুষের মাঝে। আমার মন বারবারই ফিরে যেতে চায় সেই সোনালি গ্রামে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১২:৩২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫
৫২২ বার পড়া হয়েছে

মনের আনন্দে ধান কাটছেন কৃষক

আপডেট সময় ১২:৩২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ মে ২০২৫

রাজশাহী শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে কেশরহাটের পাশে বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে পাকা জিরা ধানের সারি। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সোনালী রঙের আবরণ। এই সোনালি ধান কাটতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষকরা। মনের আনন্দে, গান গাইতে গাইতে মাঠের ধান কেটে বাড়ি ফিরছেন তাঁরা।

সবুজে ঘেরা আমাদের এই শ্যামল দেশ। তার এক অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে ওঠে ধান কাটার দৃশ্যে। মাঠে কাটা ধান জমিতেই রাখা হয়, পরে সেগুলো ছোট ছোট আটি করে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এরপর বাড়িতে শুরু হয় ধান শুকানোর প্রক্রিয়া, তারপর মাড়াই। মাড়াইয়ের মাধ্যমে ধান আলাদা হয় গাছ থেকে। পরবর্তীতে ধান আবারও শুকানো হয় ভালোভাবে সংরক্ষণের জন্য।

ধানগাছ, অর্থাৎ পোয়াল বা খ্যার, কেউ গরুর খাবার হিসেবে জমা রাখে, আবার কেউ বিক্রি করে থাকেন স্থানীয় বাজারে। এসব কাজ সাধারণত গৃহিণীরাই সামলান। মাঠে কৃষক ব্যস্ত থাকেন ধান কাটা ও বহনের কাজে, আর গৃহিণী ব্যস্ত থাকেন ধান শুকানো, পশু-পাখির দেখভালসহ গৃহস্থালির অন্যান্য কাজে। এ যেন এক নিখুঁত পারিবারিক সহযাত্রা।

এই চিত্র না দেখলে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। প্রকৃতি, শ্রম আর হাসিমুখের এক অসাধারণ সম্মিলন দেখা যায় এই সময়টাতে।

গ্রামের সেই লাল মাটির পথ, ধানের গন্ধ, আর কৃষকের হাসিমুখ—সবকিছুই আমাকে মুগ্ধ করে রাখে। যেন অল্প সময়ের জন্য হলেও হারিয়ে গিয়েছিলাম সেই মাটির কাছে, সেই মানুষের মাঝে। আমার মন বারবারই ফিরে যেতে চায় সেই সোনালি গ্রামে।