ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর লুটেরাদের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জে গণসমাবেশ
ভোলাগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সাদা পাথর লুটপাট ও টাঙ্গুয়ার হাওরকেন্দ্রিক অপরিকল্পিত পর্যটন ব্যবসা বন্ধের দাবিতে সুনামগঞ্জে গণসমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় শহরের আলফাত স্কয়ারে হাওর ও নদী রক্ষা আন্দোলন-এর আয়োজনে এ কর্মসূচি হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক মিলন এবং সঞ্চালনা করেন যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহমেদ। এতে বক্তব্য রাখেন, জনউদ্যোগের আহ্বায়ক রামেন্দ্র কুমার দে মিন্টু, সিপিবির সাবেক সভাপতি চিত্ত রঞ্জন তালুকদার, পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি একেএম আবু নাছার, প্রেসক্লাব সভাপতি পংকজ কান্তি দে, জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরীর সাধারণ সম্পাদক এড. খলিল রহমান, জেলা উদীচীর সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সমাজসেবক নুরুল হক, যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম জমনু, এড. দীপঙ্কর বনিক, জামালগঞ্জ উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব তোফায়েল আহমেদ, শান্তিগঞ্জের আহমদ উসমান, ছাতকের উজ্জীবক সুজন তালুকদার, রকিব রুবাইয়্যাত এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের শফিউল আলম প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, সাদা পাথর শুধু একটি প্রাকৃতিক সম্পদ নয়, এটি সুনামগঞ্জ ও বাংলাদেশের ঐতিহ্যের প্রতীক। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে এখানে লুটপাট চলছে।
তারা অভিযোগ করেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের একাংশ এই লুটের সঙ্গে জড়িত। বিভাগীয় কমিশনারের বক্তব্যেও সাধারণ মানুষ হতাশ হয়েছে।
তাদের দাবি, যারা সাদা পাথর লুটপাটে জড়িত এবং যারা এদের মদদ দিচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে মামলা দায়ের করতে হবে। একই সঙ্গে নৌকা ভাঙচুর ও শ্রমিক নির্যাতনের নাটক বন্ধ করার আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা আরও বলেন, যাদুকাটা নদী, ধোপাজান নদী, টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সুনামগঞ্জের অন্যান্য নদী ও হাওরও একইভাবে লুটপাটের শিকার হয়েছে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক ঐক্য স্পষ্ট।
গণমাধ্যম কর্মীরা বারবার হামলা, মামলা ও নির্যাতনের শিকার হলেও সাদা পাথর লুটপাটের সত্যতা প্রকাশে তারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন।