ভারতের আগে সৌদি যাবে খুলনা মোকামের ইলিশ
প্রতি বছর শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ভারতের জন্য উপহারস্বরূপ ইলিশ রপ্তানি করা হয়। তবে এবার আগস্ট থেকেই সৌদি আরবে ইলিশ রপ্তানির উদ্যোগ নিয়েছে মৎস্য মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশা, প্রতিবেশী দেশের তুলনায় সৌদিতে ইলিশের মূল্য বেশি পাওয়া যাবে।
গত বছরের দুর্গাপূজার সময় স্থানীয় রপ্তানিকারকরা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাননি। অক্টোবরে ভারতের জন্য ৪৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মেট্রিকটন করে এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে ২০ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে মোট ৯৪ মেট্রিকটন ইলিশ রপ্তানি হয়।
এ অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে যশোরের সততা ফিস, লাকী এন্টারপ্রাইজ, রহমান ইমপেক্স, আঁচল এন্টারপ্রাইজ, এমএপি ইন্টারন্যাশনাল, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল, নড়াইলের লাকী এন্টারপ্রাইজ, খুলনার বিশ্বাস ইন্টারন্যাশনাল, রূপালী সি ফুড, সাতক্ষীরার সুমন ট্রেডার্স।
গত অর্থবছরে খুলনার ৪ নং ঘাটস্থ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনে ১৯৪ মেট্রিকটন ইলিশ বিক্রি হয়, যার মধ্যে দেশের অভ্যন্তরে ১০০ মেট্রিকটন বাজারজাত করা হয়।
আগস্ট থেকে সৌদি আরবে ইলিশ রপ্তানির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যেখানে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে আশানুরূপ মূল্য পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে দেশের বাজারেও ইলিশের চাহিদা বাড়ে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল ও যশোরের বাজারে এ দিনে প্রায় ৬০ মেট্রিকটনের বেশি ইলিশ বিক্রি হয়।
বালেশ্বর, কীর্তনখোলা, পশুর নদী এবং বঙ্গোপসাগর থেকে ইলিশ আহরণ শুরু হবে জুলাই মাস থেকে। ইতোমধ্যে জেলেরা দাদন নেওয়া শুরু করেছেন। কুয়াকাটা মোকাম থেকেও মৌসুমের শুরুতে ইলিশ আসবে।
মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন খুলনার ব্যবস্থাপক মো. মাসুদ জানিয়েছেন, সাগর ও এ অঞ্চলের নদ-নদীতে ইলিশ আহরণের ভিত্তিতে রপ্তানির চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভারতের তুলনায় সৌদির মুদ্রামানের পার্থক্যের কারণে সৌদিতে ইলিশ রপ্তানি করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।