বেপরোয়া কিশোর গ্যাং: ভবিষ্যতের হুমকি
বর্তমানে পত্রিকার পাতায় প্রায় প্রতিদিনই চোখে পড়ছে কিশোরদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর। দেশি অস্ত্রসহ ধরা পড়ছে ১০-১২ বছরের ছেলেরা, যারা গড়ে তুলছে কিশোর গ্যাং এবং জড়িয়ে পড়ছে চুরি, ছিনতাই এমনকি হত্যার মতো অপরাধে।
প্রশ্ন জাগে-এই কিশোরদের সন্ত্রাসে জড়ানোর পেছনে দায় কার? পরিবার কি সন্তানের প্রতি যথেষ্ট নজর দিচ্ছে? তারা কোথায় যায়, কাদের সঙ্গে মেশে, কি করে-এসব কি আমরা দেখছি?
অভিভাবকরা আজ ব্যস্ত, আর সেই সুযোগে কিশোররা প্রযুক্তির মাধ্যমে অপরাধী গ্রুপে জড়িয়ে পড়ছে। ফেসবুক বা বিভিন্ন অ্যাপে গড়ে উঠছে ‘গ্যাং কালচার’, যার প্রভাব কিশোরদের মানসিক বিকাশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তারা বুঝতে পারছে না সঠিক-ভুলের পার্থক্য।
সমাজ হিসেবে আমাদের দায়িত্ব এই উঠতি কিশোরদের সঠিক পথে নিয়ে আসা। পরিবার, বিদ্যালয় ও সমাজের সমন্বয়ে তাদের মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করতে হবে। এখনই সময়-সন্তানের দিকে নজর দেওয়ার। তাদের চলাফেরা, বন্ধু-বান্ধব, অভ্যাস—সবকিছুর খোঁজ রাখা জরুরি।
আজকের কিশোরই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তারাই একদিন দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে—যদি সঠিক পথে পরিচালিত করা যায়।