বৃক্ষমেলায় জমজমাট বেচাকেনা, শীর্ষে শাওন নার্সারি
“পরিকল্পিত বনায়ন করি, সবুজ বাংলাদেশ গড়ি”—এই প্রতিপাদ্য নিয়ে খুলনায় চলছে বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিনামূল্যে সবার জন্য উন্মুক্ত এ মেলায় ক্রেতাদের ভিড়ে জমজমাট হয়ে উঠেছে বেচাকেনা।
মেলায় অংশ নিয়েছে ৬১টি প্রতিষ্ঠান, যার মধ্যে ১০টি সরকারি। ১৫ জুলাই পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ৯ হাজার ৭৭৯টি গাছ, যার আর্থিক মূল্য ১৪ লাখ ৭৯ হাজার ৮১৫ টাকা। বিক্রির শীর্ষে রয়েছে শাওন নার্সারি।
শাওন নার্সারির মালিক মো. ইকরাম শেখ জানান, ফলজ গাছে আগ্রহ বেশি। সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হওয়া চারা গাছ শরিফা (আতা), যার দাম হাকানো হয়েছে ৬ হাজার টাকা।
৪০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে চায়না টগর, কাঠ টগর, জবা, গোলাপ, রঙ্গন, বাতাবি লেবু, আশফল ইত্যাদি।
২০০ থেকে ৫০০ টাকায় মিলছে আম্রপালি, হিমসাগর, আনার, আতা, মালবেরি, পেয়ারার বিভিন্ন জাত।
৫০০ টাকার বেশি দামের চারা গাছের মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনামি মাল্টা, থাই কদবেল ও প্রিমিয়াম জাতের সফেদা।
এছাড়া পাওয়া যাচ্ছে এলাচ, গোলমরিচ, দারুচিনি, তেজপাতা, লবঙ্গসহ নানা মসলা জাতীয় গাছের চারা।
ফুলে-ফলে সাজানো প্রতিটি স্টল যেন একেকটি ক্ষুদ্র বাগান। চারা কিনতে আসা ক্রেতারা বলছেন, এমন পরিবেশে ঘুরে বেড়ালে মন ভালো হয়ে যায়। দেশি-বিদেশি ফল, ফুল ও মসলার চারা নিয়ে এসেছে নানা নার্সারি।
গত বছর রাজনৈতিক কারণে এক সপ্তাহ মেলা বন্ধ ছিল, তবুও বিক্রি হয়েছিল ২৯ হাজার ২৫৬টি গাছ, যার মূল্য ছিল ৩৩ লাখ ৮২ হাজার টাকা।
এ বছর গাছের প্রতি মানুষের আগ্রহে প্রাণ ফিরে পেয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। ছাদবাগান হোক কিংবা বড় আকারের বাগান—সবার জন্যই রয়েছে উপযোগী চারা। সবুজে ভরা এ মেলা যেন প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য এক উৎসব।