বীরগঞ্জে কমেছে সরিষা, বেড়েছে আলু চাষ
দেশে ভোজ্য তেলের আমদানি নির্ভরতা কমাতে সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে বিপুল পরিমাণে সার ও বীজ প্রণোদনা দেওয়া হলেও যথাযথ তদারকির অভাব, ন্যায্য মূল্যের অপ্রাপ্যতা এবং আলুর মূল্য বৃদ্ধির কারণে সরিষার চাষ গত বছরের তুলনায় কমেছে ১,৫২৯ হেক্টর জমিতে। অন্যদিকে, আলুর আবাদ বেড়েছে ১,৩২৮ হেক্টর জমিতে।
কৃষকরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে বাজারে সরিষার ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় এবং আলুর চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা আলু চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। ফলে উপজেলায় সরিষার আবাদ কমে গিয়ে আলুর আবাদ বেড়েছে।
উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গত বছর সরিষার আবাদ হয়েছিল ৪,৯৪৬ হেক্টর জমিতে, যা এই মৌসুমে কমে দাঁড়িয়েছে ৩,৪১৭ হেক্টর জমিতে। অপরদিকে, গত মৌসুমে ৯,৮৫৬ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হলেও এবার তা বেড়ে হয়েছে ১১,১৮৪ হেক্টর। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উচ্চ মূল্যের কারণে অনেকেই সরিষা চাষ বাদ দিয়ে আলু চাষে মনোযোগী হয়েছেন।
মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের কৃষক মো. জহুর হক বলেন, “গত কয়েক বছর ধরে বাজারে সরিষার দাম কম থাকায় এবং আলুর দাম ও চাহিদা বেশি থাকায় আমি সরিষার পরিবর্তে আলু চাষ করেছি।”
একই গ্রামের কৃষক বিধান চন্দ্র বলেন, গত বছর ৪ বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছিলাম, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত দাম না পাওয়ায় এবার মাত্র ১ বিঘা জমিতে সরিষা লাগিয়েছি। অন্যদিকে, ভালো দাম পাওয়ার আশায় ৪ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শরিফুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে আলুর মূল্য বৃদ্ধির কারণে কৃষকরা আলু চাষে বেশি আগ্রহী হয়েছেন। যদিও সরিষার আবাদ কমেছে, তবে পতিত জমিতেও আলু চাষ হওয়ায় সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষকদের উৎসাহিত করতে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে আমরা নিয়মিত কাজ করছি।