বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতার অবস্থান ধরে রেখেছি: ড. খলিলুর রহমান
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সদ্য স্বাক্ষরিত বাণিজ্য চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্ভাব্য ৩৫ শতাংশ পালটা শুল্ক এড়াতে সক্ষম হয়েছে। এটি দেশের তৈরি পোশাক শিল্প ও লাখো শ্রমিকের জন্য বড় একটি স্বস্তির খবর বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি।
শুক্রবার (১ আগস্ট) যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নতুন শুল্ক নীতির ঘোষণা আসার পর এক বিবৃতিতে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
ড. খলিলুর রহমান বলেন, “আমরা আমাদের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছি এবং বিশ্বের বৃহত্তম ভোক্তা বাজারে প্রবেশের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আলোচনার প্রতিটি ধাপ পরিচালিত হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ ও সক্ষমতার আলোকে। পোশাক খাত রক্ষাই ছিল আমাদের অগ্রাধিকার।”
তিনি আরও জানান, চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ মার্কিন কৃষিপণ্য আমদানির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিভিত্তিক রাজ্যগুলোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ৭০টি দেশের আমদানির ওপর সর্বোচ্চ ৪১ শতাংশ পর্যন্ত নতুন শুল্কহার আরোপ করেছেন। এই শুল্কনীতি শুধু আমদানি শুল্ক সংশোধনে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দেশীয় নীতিমালার সংস্কার, বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষা, অশুল্ক বাধা এবং জাতীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত বিষয়াবলি।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়, প্রত্যেক দেশের শুল্ক হার নির্ধারণে সংশ্লিষ্ট দেশের দেওয়া প্রতিশ্রুতির গভীরতা বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের প্রাপ্ত ২০ শতাংশ শুল্কহার শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার মতো প্রতিদ্বন্দ্বী রপ্তানিকারকদের সমতুল্য। অপরদিকে, পূর্ণাঙ্গ চুক্তি করতে ব্যর্থ হওয়ায় ভারত ২৫ শতাংশ শুল্কহার আরোপের মুখে পড়েছে।