বিমান দুর্ঘটনায় থেমে গেল ফাতেমার স্বপ্ন
ঢাকার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ৯ বছরের ফাতেমা আক্তারকে বাগেরহাটের চিতলমারীতে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১০টায় উপজেলার কুনিয়া কওমি মাদ্রাসা মাঠে জানাজা শেষে তাকে মাদ্রাসার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ফাতেমা কুনিয়া গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী বনি আমিন শেখের মেয়ে এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে গ্রামজুড়ে।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টায় ফাতেমার মরদেহ পৌঁছালে স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। তাকে একনজর দেখতে শতশত মানুষ ভিড় করেন বাড়িতে।
ফাতেমার বাবা বনি আমিন শেখ বলেন, ‘পরিবারের সুখের কথা চিন্তা করে ১৫ বছর ধরে কুয়েতে কাজ করছি। মেয়েকে ভালো স্কুলে ভর্তি করিয়েছিলাম, মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার সব শেষ হয়ে গেল।’
তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার নিষ্পাপ মেয়েটার মুখটা আগুনে ঝলসে গেছে। আমি ওর মুখের দিকে তাকাতেও পারিনি।’
ফাতেমার মামা স্বপন মীর বলেন, ‘আমার বোন দুই ছেলে-মেয়েকে নিয়ে উত্তরায় থাকেন। ফাতেমা ছিল সবার বড়। সে তৃতীয় শ্রেণিতে আর ছোট ভাই ওমর প্লে গ্রুপে পড়ে। ওরা প্রতিদিন একসাথে স্কুলে যেত। কিন্তু সোমবার ওমরের জ্বর হওয়ায় ফাতেমা একা স্কুলে যায়।’
তিনি বলেন, ‘বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনে রাজধানীর বিভিন্ন হাসপাতালে খুঁজেছি ভাগ্নিকে। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি। রাত ৯টার দিকে খবর পাই, ফাতেমার মরদেহ সিএমএইচ মর্গে রয়েছে। গিয়ে শনাক্ত করি।’