ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিটিআরসির নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালা নিয়ে খুলনায় আলোচনা সভা, ৮ দফা দাবি

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা::

ছবি: আলোচনা সভার একাংশ

বিটিআরসির নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালা নিয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর খুলনা বিভাগের উদ্যোগে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ মার্চ, বিকালে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এই সভায়, নতুন লাইসেন্সিং কাঠামোর আওতায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং দেশীয় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে ৮ দফা দাবি জানানো হয়।

সভায় জানানো হয়, খুলনা সহ বিভাগের ১০ জেলায় মোট ১২৫টি স্থানীয় ব্রডব্রান্ড সার্ভিস প্রভাইডার প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা প্রায় ২ লাখ গ্রাহককে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছে।

সভায় বক্তারা বিদ্যমান চার স্তর বিশিষ্ট লাইসেন্সিং কাঠামো (জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা, থানা) বজায় রাখার এবং সরাসরি লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার উপর জোর দেন।

সভায় বক্তব্য রাখেন, আইএসপিএবির পরিচালক সাব্বির আহমেদ, খুলনা বিভাগের আহবায়ক মওদুদ আহমেদ, ফেরদৌস তুষার, আজিজ উদ্দিন, শরিফ আজিজুল রহমান, মোঃ তহিদুল ইসলাম, খুরশিদ আলম প্রমুখ। সভায় ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. বিদ্যমান লাইসেন্সিং কাঠামো বজায় রাখা এবং নতুন কোনো তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া চালু না করা।
২. বিদ্যমান লাইসেন্সধারীদের সহজ উপায়ে লাইসেন্স আপগ্রেড বা ডাউনগ্রেড করার সুযোগ দেওয়া।
৩. ফিক্সড ব্রডব্যান্ড টেলিকম সেবা প্রদানকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইপিটিএসপি (ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিফোনি সার্ভিস প্রভাইডার) লাইসেন্স প্রদান।
৪. ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রভাইডারদের (এফটিএসপি) লাইসেন্স প্রদান এবং তাদের একচেটিয়া অধিকার প্রদান, যাতে তারা ফাইবার ক্যাবল ও ওয়ালেস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা দিতে পারে।
৫. এনটিটিএন (নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) অপারেটরদের শুধুমাত্র এফটিএসপি এর পয়েন্ট অব প্রজেন্স এবং বিটিএস -এ সংযোগ সরবরাহের জন্য সীমাবদ্ধ রাখা।
৬. এফটিএসপিদের ব্যান্ডউইথ ও একটিভ ডিভাইস শেয়ার করার অনুমতি প্রদান, যাতে নেটওয়ার্কের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং রাস্তায় তারের জঞ্জাল কমে।
৭. ফিক্সড টেলিকম অপারেটরদের আইপিটিভি, ওটিটি ও আইপিভিত্তিক অন্যান্য সেবা চালু করার অনুমতি দেওয়া।
৮. নীতি সহায়তা প্রদান, যাতে কোয়ালিটি অব সার্ভিস উন্নত করা সম্ভব হয়।

সভায় বক্তারা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারদের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৯:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
৫৩৭ বার পড়া হয়েছে

বিটিআরসির নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালা নিয়ে খুলনায় আলোচনা সভা, ৮ দফা দাবি

আপডেট সময় ০৯:০৭:৪২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

বিটিআরসির নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালা নিয়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) এর খুলনা বিভাগের উদ্যোগে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ মার্চ, বিকালে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে আয়োজিত এই সভায়, নতুন লাইসেন্সিং কাঠামোর আওতায় ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা এবং দেশীয় বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে ৮ দফা দাবি জানানো হয়।

সভায় জানানো হয়, খুলনা সহ বিভাগের ১০ জেলায় মোট ১২৫টি স্থানীয় ব্রডব্রান্ড সার্ভিস প্রভাইডার প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় পর্যায়ে প্রায় ৩০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা প্রায় ২ লাখ গ্রাহককে ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে। নতুন লাইসেন্সিং নীতিমালার ফলে এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেকেই বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা করছে।

সভায় বক্তারা বিদ্যমান চার স্তর বিশিষ্ট লাইসেন্সিং কাঠামো (জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা, থানা) বজায় রাখার এবং সরাসরি লাইসেন্সিং প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখার উপর জোর দেন।

সভায় বক্তব্য রাখেন, আইএসপিএবির পরিচালক সাব্বির আহমেদ, খুলনা বিভাগের আহবায়ক মওদুদ আহমেদ, ফেরদৌস তুষার, আজিজ উদ্দিন, শরিফ আজিজুল রহমান, মোঃ তহিদুল ইসলাম, খুরশিদ আলম প্রমুখ। সভায় ৮ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। দাবি গুলোর মধ্যে রয়েছে-

১. বিদ্যমান লাইসেন্সিং কাঠামো বজায় রাখা এবং নতুন কোনো তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া চালু না করা।
২. বিদ্যমান লাইসেন্সধারীদের সহজ উপায়ে লাইসেন্স আপগ্রেড বা ডাউনগ্রেড করার সুযোগ দেওয়া।
৩. ফিক্সড ব্রডব্যান্ড টেলিকম সেবা প্রদানকারীদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে আইপিটিএসপি (ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিফোনি সার্ভিস প্রভাইডার) লাইসেন্স প্রদান।
৪. ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রভাইডারদের (এফটিএসপি) লাইসেন্স প্রদান এবং তাদের একচেটিয়া অধিকার প্রদান, যাতে তারা ফাইবার ক্যাবল ও ওয়ালেস প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা দিতে পারে।
৫. এনটিটিএন (নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক) অপারেটরদের শুধুমাত্র এফটিএসপি এর পয়েন্ট অব প্রজেন্স এবং বিটিএস -এ সংযোগ সরবরাহের জন্য সীমাবদ্ধ রাখা।
৬. এফটিএসপিদের ব্যান্ডউইথ ও একটিভ ডিভাইস শেয়ার করার অনুমতি প্রদান, যাতে নেটওয়ার্কের দক্ষতা বৃদ্ধি পায় এবং রাস্তায় তারের জঞ্জাল কমে।
৭. ফিক্সড টেলিকম অপারেটরদের আইপিটিভি, ওটিটি ও আইপিভিত্তিক অন্যান্য সেবা চালু করার অনুমতি দেওয়া।
৮. নীতি সহায়তা প্রদান, যাতে কোয়ালিটি অব সার্ভিস উন্নত করা সম্ভব হয়।

সভায় বক্তারা ইন্টারনেট সার্ভিস প্রভাইডারদের উপর সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।