বিচারপতি খায়রুল হকের গ্রেপ্তার: “দেরিতে হলেও পাকড়াও করা হয়েছে”-জামায়াত আমির
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের গ্রেপ্তারে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, “দেরিতে হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে পাকড়াও করেছে। জাতি এখন তার সুষ্ঠু বিচার ও ন্যায্য শাস্তি প্রত্যাশা করে।”
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ১২টার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানান।
জামায়াত আমির লিখেন, “খায়রুল হক ফ্যাসিস্ট আমলে প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তিনি বিচারপতির মর্যাদা রক্ষা করেননি বরং হঠকারী রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক মাফিয়াদের গুম-খুন-লুণ্ঠনের লাইসেন্স ও হাতিয়ার তুলে দিয়েছিলেন। দেশের ইতিহাসে এত বড় ক্ষতি আর কেউ করেনি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা তার ক্ষেত্রে কেবল ন্যায়বিচারই চাই। সেই ন্যায়বিচারেই তিনি ইতিহাসের শিক্ষণীয় শাস্তি পাবেন—এই আশাই রাখি।”
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডির নিজ বাসা থেকে সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন খায়রুল হক। অবসর নেন ২০১১ সালের ১৭ মে। তার মেয়াদে ত্রয়োদশ সংশোধনী মামলার রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেন তিনি—যা দেশে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতার সূত্রপাত ঘটায়।
খায়রুল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, আগাম জামিন বাতিল, বিতর্কিত রায় প্রদান, জ্যেষ্ঠতা উপেক্ষা করে পদোন্নতি গ্রহণ এবং দলীয় আনুগত্যের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রীয় ত্রাণ তহবিলের অর্থে চিকিৎসা নেওয়াসহ আরও একাধিক বিষয়ে সমালোচিত হন তিনি।
শেখ হাসিনা সরকারের শেষ সময়ে তিনি ছিলেন আইন কমিশনের চেয়ারম্যান। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পতনের পর, ১৩ আগস্ট তিনি পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।