ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বানিয়াচংয়ে ৫ আগস্টের পুলিশ হত্যা: কী ঘটেছিল?

চেকপোস্ট ডেস্ক::

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচংয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের দিনে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনার পর থানায় হামলা, অস্ত্র লুট ও অগ্নিসংযোগ হয়। অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য থানায় অবরুদ্ধ হন।

ঘটনার পূর্বে পুলিশের গুলিতে অন্তত আট গ্রামবাসী নিহত হন। এরপর হাজার হাজার জনতা থানায় হুমকি দিয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার দাবি তোলেন। রাতের বেলায় ওই থানার এসআই সন্তোষ চৌধুরীকে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে তুলে দেয় পুলিশ। পরে থানার সামনে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় তার মরদেহ।

সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কর্মকর্তারা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। উদ্ধার হওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তারা পুলিশদের বাঁচাতে পারেননি, কারণ জনতা সন্তোষ চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে দৃঢ় ছিলেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্তোষ চৌধুরীকে টার্গেট করার পেছনে ৫ আগস্ট গুলির ঘটনাসহ তার অতীত কর্মকাণ্ড ও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক কারণে ক্ষোভ কাজ করেছে।

ঘটনার সময় থানায় আগুন জ্বালিয়ে ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে জনতা। পুলিশের মতে, এসআই সন্তোষের গুলি চালানোর উদ্দেশ্য ছিল অবরুদ্ধ পুলিশদের রক্ষা করা।

সরকারি কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৮:২১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
৫২১ বার পড়া হয়েছে

বানিয়াচংয়ে ৫ আগস্টের পুলিশ হত্যা: কী ঘটেছিল?

আপডেট সময় ০৮:২১:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫

বাংলাদেশের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচংয়ে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের দিনে বড় ধরনের সংঘর্ষ ঘটে। পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনার পর থানায় হামলা, অস্ত্র লুট ও অগ্নিসংযোগ হয়। অর্ধশতাধিক পুলিশ সদস্য থানায় অবরুদ্ধ হন।

ঘটনার পূর্বে পুলিশের গুলিতে অন্তত আট গ্রামবাসী নিহত হন। এরপর হাজার হাজার জনতা থানায় হুমকি দিয়ে ঘেরাও করেন। পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যার দাবি তোলেন। রাতের বেলায় ওই থানার এসআই সন্তোষ চৌধুরীকে বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে তুলে দেয় পুলিশ। পরে থানার সামনে একটি গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয় তার মরদেহ।

সেনাবাহিনী, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ কর্মকর্তারা উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। উদ্ধার হওয়া এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তারা পুলিশদের বাঁচাতে পারেননি, কারণ জনতা সন্তোষ চৌধুরীর মুক্তির দাবিতে দৃঢ় ছিলেন।

স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্তোষ চৌধুরীকে টার্গেট করার পেছনে ৫ আগস্ট গুলির ঘটনাসহ তার অতীত কর্মকাণ্ড ও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক কারণে ক্ষোভ কাজ করেছে।

ঘটনার সময় থানায় আগুন জ্বালিয়ে ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে জনতা। পুলিশের মতে, এসআই সন্তোষের গুলি চালানোর উদ্দেশ্য ছিল অবরুদ্ধ পুলিশদের রক্ষা করা।

সরকারি কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।