ঢাকা ০৯:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৪ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটের রামপালে শীতের তীব্রতায় শীতবস্ত্র কেনাকাটার ব্যস্ততা

হারুন শেখ, বাগেরহাট প্রতিনিধি::

শীতবস্ত্র কেনাকাটার ব্যস্ততা

শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বাগেরহাটের রামপালের ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানগুলো হয়ে উঠেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য স্বস্তির স্থান। ফয়লাবাজার মাঠ, ভাগা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতবস্ত্র কেনার ভিড় দেখা যাচ্ছে। সাশ্রয়ী দামে মানসম্মত পোশাক কিনতে পারায় মানুষের মুখে ফুটে উঠেছে স্বস্তির হাসি।

ফুটপাতের দোকানগুলোতে শিশুদের জাম্পার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, পুরুষদের হুডি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, নারীদের সোয়েটার ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এছাড়াও চাদর পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়। উলের টুপি, গ্লাভস, এবং স্কার্ফের দাম ৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে এসব পণ্য কিনতে ভিড় দেখা যাচ্ছে।

খুলনা থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. আওয়াল হোসেন জানান, শীতের সময়টাই তাদের ব্যবসার মৌসুম। প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। প্রতি বান্ডিল থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা লাভ হয়।

শীতবস্ত্র কিনতে আসা গোবিন্দপুর গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “ফুটপাতের পণ্যের মান ভালো, আর দামও সাধ্যের মধ্যে। এখানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় যে সোয়েটার কিনেছি, সেটা মার্কেটে ১০০০ টাকার নিচে পাওয়া যেত না।”
উজলকুড় গ্রামের আলেয়া বেগম জানান, “আমাদের পরিবারের ছয়জনের জন্য এখানে থেকে পোশাক কিনেছি। দাম আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে থাকায় খুব উপকার হয়েছে।”

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, আজ বাগেরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহের কারণে এই শীত কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলে তিনি জানান।

রামপালের ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানগুলো শুধু কেনাকাটার স্থান নয়, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এক ধরনের স্বস্তির জায়গায় পরিণত হয়েছে। শীত আরও বাড়লে এ ধরনের দোকানগুলোতে ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৭:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
৫২৩ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটের রামপালে শীতের তীব্রতায় শীতবস্ত্র কেনাকাটার ব্যস্ততা

আপডেট সময় ০৭:৫৭:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫

শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বাগেরহাটের রামপালের ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানগুলো হয়ে উঠেছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের জন্য স্বস্তির স্থান। ফয়লাবাজার মাঠ, ভাগা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় শীতবস্ত্র কেনার ভিড় দেখা যাচ্ছে। সাশ্রয়ী দামে মানসম্মত পোশাক কিনতে পারায় মানুষের মুখে ফুটে উঠেছে স্বস্তির হাসি।

ফুটপাতের দোকানগুলোতে শিশুদের জাম্পার বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ৩০০ টাকায়, পুরুষদের হুডি ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়, নারীদের সোয়েটার ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। এছাড়াও চাদর পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ থেকে ৪৫০ টাকায়। উলের টুপি, গ্লাভস, এবং স্কার্ফের দাম ৬০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে হওয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের মধ্যে এসব পণ্য কিনতে ভিড় দেখা যাচ্ছে।

খুলনা থেকে আসা ব্যবসায়ী মো. আওয়াল হোসেন জানান, শীতের সময়টাই তাদের ব্যবসার মৌসুম। প্রতিদিন ৫ থেকে ৭ হাজার টাকার পণ্য বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান। প্রতি বান্ডিল থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা লাভ হয়।

শীতবস্ত্র কিনতে আসা গোবিন্দপুর গ্রামের মেজবাহ উদ্দিন বলেন, “ফুটপাতের পণ্যের মান ভালো, আর দামও সাধ্যের মধ্যে। এখানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় যে সোয়েটার কিনেছি, সেটা মার্কেটে ১০০০ টাকার নিচে পাওয়া যেত না।”
উজলকুড় গ্রামের আলেয়া বেগম জানান, “আমাদের পরিবারের ছয়জনের জন্য এখানে থেকে পোশাক কিনেছি। দাম আমাদের সামর্থ্যের মধ্যে থাকায় খুব উপকার হয়েছে।”

মোংলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, আজ বাগেরহাটের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহের কারণে এই শীত কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে বলে তিনি জানান।

রামপালের ফুটপাতের শীতবস্ত্রের দোকানগুলো শুধু কেনাকাটার স্থান নয়, বরং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য এক ধরনের স্বস্তির জায়গায় পরিণত হয়েছে। শীত আরও বাড়লে এ ধরনের দোকানগুলোতে ভিড় আরও বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/checkpostcom/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464