বাগেরহাটের রামপালে মৎস্যঘের লুট: ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি
বাগেরহাটের রামপালে একটি মৎস্যঘের লুটের ঘটনা ঘটেছে, যার মাধ্যমে ঘের মালিকের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে। রামপালের পেড়িখালী গ্রামের আলহাজ গোলাম মোস্তফার ছেলে মহাশীন বাদশার মৎস্যঘেরে এই হামলা চালানো হয়।
ঘের মালিক মহাশীন বাদশা গত ৯ এপ্রিল রাতে ঘেরের উপর হামলার শিকার হন, যেখানে দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রের সাহায্যে ঘেরের পাহারাদারদের মারধর করে এবং ৩৮টি বিদেশী গাড়ল (ভেড়া), মাছ, মালামাল এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র লুট করে নেয়। ঘেরের বাকি মালামালও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যার মোট মূল্য প্রায় ১৪ লক্ষ ৭৪ হাজার ৫শ টাকা।
এজাহারে ঘের মালিকের স্ত্রী নুরুন্নাহার আক্তার ৭ জনকে অভিযুক্ত করে, অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনের বিরুদ্ধে রামপাল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের মধ্যে পেড়িখালীর ইয়াহিয়া হাওলাদার, মিজান শেখ, আব্দুল্লাহ ইজারদার, মুক্ত লাঠিয়াল, মফিজ লাঠিয়াল, জিয়া শেখ এবং ইদ্রিস হাওলাদারের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
দুর্বৃত্তরা ঘেরের পাহারাদার শহিদুল ইজারদার, সবুর গাজী, রুহুল আমীনকে মারধর করে জিম্মি করে রেখেছিল। স্থানীয় বিএনপি নেতা আলহাজ গোলাম সরোয়ার এই ঘটনার পর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে, যদি লুট হওয়া মালামাল ফেরত না দেওয়া হয়, তবে তারা আইনি ব্যবস্থা নেবেন।
ঘের মালিক মহাশীন বাদশা ও তার পরিবার অভিযোগ করেছেন, একদল দুর্বৃত্ত তাদের বৈধ মৎস্যঘেরে বারবার হামলা ও লুটপাট চালাচ্ছে এবং হুমকি দিচ্ছে, ফলে তারা মারাত্মক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
রামপাল থানার ওসি মো. সেলিম রেজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “অপরাধী যত শক্তিশালীই হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”