ঢাকা ০৫:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটের রামপালে ইসলামাবাদ ফাজিল মাদরাসার জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

হারুন শেখ, বাগেরহাট প্রতিনিধি::

বাগেরহাটের রামপালের ইসলামাবাদ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসার ভোগ দখলীয় জমির গাছপালা কেটে দোকানঘর নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

 

জানা গেছে, উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের মরহুম নসিম উদ্দিন ফকির মৌখিক দান সূত্রে ৩৪ শতাংশ জমি দান করেন। যা জেএল ৯১ নং চন্ডিতলা মৌজার এসএ ৩৩৪ দাগে অবস্থিত। ১৯৬০ সালে ওই মালিক জমি দান করে রেকর্ড বুঝিয়ে দেন। এর পর থেকে বাং ১৩৫৩ সাল থেকে ১৪২৮ সাল পর্যন্ত ভোগদখলে রয়েছে। জমির একই খতিয়ানে অন্যান্য মালিকদের জমি থাকায় সঠিকভাবে সীমানা নির্ধারণ করা যায়নি এবং সে জন্য বাগেরহাটের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে ২৫২৫/১৮ নম্বরের একটি মামলা চলমান রয়েছে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় গত ইং (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযুক্ত মৃত আফসার ফকিরের ছেলে মো. আসাদুজ্জামান বাবু ফকির গাছপালা কাটেন এবং বাঁশ দিয়ে ঘিরে দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে আসাদুজ্জামান বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মূল সিএস মালিক পুনাই, কাদের গং ও রবিউল্লা গং। তাদের থেকে এসএ মালিক ওই একই মালিক। ধারাবাহিকভাবে বর্তমান চন্ডিতলা জেএল ৭৭ নং মৌজার ৫৪৮ দাগে ৫৩ শতাংশ জমি রেকর্ড পাই। ৩ টি জরিপেই আমরা মালিক হয়ে বংশপরম্পরায় ভোগ করছি। এসএ খতিয়ানে মাদরাসার অনুকুলে দোকর ও ভ্রান্তিকর ভাবে দেওয়া একটি পর্চা পাওয়া যায়। বর্তমানে জমি আমাদের ভোগদখলে রয়েছে। সেটেলমেন্টে ৩০ ধারা ও ৩১ ধারায় আমরা রেকর্ড পেয়েছি। ফাইনাল গেজেট পর্চাও আমাদের নামে।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৭:৫৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫১৭ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটের রামপালে ইসলামাবাদ ফাজিল মাদরাসার জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৭:৫৪:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটের রামপালের ইসলামাবাদ ফাজিল (ডিগ্রী) মাদরাসার ভোগ দখলীয় জমির গাছপালা কেটে দোকানঘর নির্মাণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

 

জানা গেছে, উপজেলার ইসলামাবাদ গ্রামের মরহুম নসিম উদ্দিন ফকির মৌখিক দান সূত্রে ৩৪ শতাংশ জমি দান করেন। যা জেএল ৯১ নং চন্ডিতলা মৌজার এসএ ৩৩৪ দাগে অবস্থিত। ১৯৬০ সালে ওই মালিক জমি দান করে রেকর্ড বুঝিয়ে দেন। এর পর থেকে বাং ১৩৫৩ সাল থেকে ১৪২৮ সাল পর্যন্ত ভোগদখলে রয়েছে। জমির একই খতিয়ানে অন্যান্য মালিকদের জমি থাকায় সঠিকভাবে সীমানা নির্ধারণ করা যায়নি এবং সে জন্য বাগেরহাটের ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে ২৫২৫/১৮ নম্বরের একটি মামলা চলমান রয়েছে। অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় গত ইং (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযুক্ত মৃত আফসার ফকিরের ছেলে মো. আসাদুজ্জামান বাবু ফকির গাছপালা কাটেন এবং বাঁশ দিয়ে ঘিরে দোকানঘর নির্মাণের চেষ্টা করেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে আসাদুজ্জামান বাবুর কাছে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মূল সিএস মালিক পুনাই, কাদের গং ও রবিউল্লা গং। তাদের থেকে এসএ মালিক ওই একই মালিক। ধারাবাহিকভাবে বর্তমান চন্ডিতলা জেএল ৭৭ নং মৌজার ৫৪৮ দাগে ৫৩ শতাংশ জমি রেকর্ড পাই। ৩ টি জরিপেই আমরা মালিক হয়ে বংশপরম্পরায় ভোগ করছি। এসএ খতিয়ানে মাদরাসার অনুকুলে দোকর ও ভ্রান্তিকর ভাবে দেওয়া একটি পর্চা পাওয়া যায়। বর্তমানে জমি আমাদের ভোগদখলে রয়েছে। সেটেলমেন্টে ৩০ ধারা ও ৩১ ধারায় আমরা রেকর্ড পেয়েছি। ফাইনাল গেজেট পর্চাও আমাদের নামে।