বাগেরহাটসহ ৩ জেলার জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের (খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা) কৃষি ও সেচ ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। একই সঙ্গে বাগেরহাট পৌরসভার অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আরও ১ কোটি টাকার বিশেষ অনুদান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্প দুটি অনুমোদন পায়। এই বরাদ্দ আদায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. ফরিদুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাব মোকাবিলা এবং উপকূলীয় কৃষিকে টিকিয়ে রাখতে ফরিদুল ইসলাম দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে কৃষি মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে এই প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তাঁর ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় শেষ পর্যন্ত একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন লাভ করে।
এ প্রসঙ্গে সচিব ড. মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, “বৃহত্তর খুলনা অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় আমি কৃতজ্ঞতা জানাই মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি। কৃষি ব্যবস্থাপনায় যে সংকট তৈরি হয়েছে, এই প্রকল্প সেটি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাই প্রধান উপদেষ্টার সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান এবং বিএডিসি চেয়ারম্যান মো. রুহুল আমিন খানকে, যাঁরা প্রকল্পের গুরুত্ব অনুধাবন করে আমাদের সহযোগিতা করেছেন।”
এছাড়াও একই দিনে বাগেরহাট পৌরসভার উন্নয়নকাজের জন্য এক কোটি টাকার বিশেষ অনুদান বরাদ্দ দেওয়া হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নগর উন্নয়ন বাজেটের আওতায় এই বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অর্থ ব্যবহারে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে সরকারের আর্থিক নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বরাদ্দকৃত অর্থ শুধু ড্রেনেজ, কালভার্ট, রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার ইত্যাদি পৌর অবকাঠামো উন্নয়নকাজে ব্যবহার করা যাবে। কোনোভাবেই এই অর্থ অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। সকল প্রকল্পের নিরীক্ষা ও যথাযথ রেকর্ড সংরক্ষণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয়রা মনে করছেন, এই বরাদ্দ শহরের নাগরিক সুবিধা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে বড় অবদান রাখবে। একদিকে যেমন কৃষি ও সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে কৃষকরা উপকৃত হবেন, অন্যদিকে পৌর এলাকায় উন্নত ড্রেনেজ ও রাস্তাঘাটের ফলে শহরবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।