ঢাকা ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান ১৯ আইনপ্রণেতার

চেকপোস্ট ডেস্ক::

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির ১৯ আইনপ্রণেতা।

শুক্রবার লিখিত চিঠিতে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আরও অবনতি রোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। চিঠিতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও আনা হয়েছে।

মার্কিন ডেমোক্র্যাট সিনেটর এডওয়ার্ড জে মারকি, প্রতিনিধি জিম ম্যাকগভর্ন ও বিল কিটিং এই চিঠির উদ্যোক্তা। এতে মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উভয় কক্ষের আরও কয়েকজন আইনপ্রণেতা স্বাক্ষর করেছেন। সিনেটর এডওয়ার্ড জে মারকির নিজস্ব ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

সিনেটর মারকির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সিনেটর এডওয়ার্ড জে. মারকি এবং প্রতিনিধি জিম ম্যাকগভর্ন ও বিল কিটিং তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আজ শুক্রবার একটি দ্বিদলীয় চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অবনতিশীল অবস্থায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনকারী ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষ হচ্ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিই তুলে ধরে।

ব্লিঙ্কেনের কাছে লেখা চিঠিতে আইনপ্রণেতারা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে—চলতি বছরের জানুয়ারিতে গভীর ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান, শ্রম নীতিমালার উন্নয়নে ব্যর্থ হওয়া, অতি সম্প্রতি বন্দুক, টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমন করা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া উল্লেখযোগ্য।’

আইনপ্রণেতারা আরও লিখেছেন, ‘এই উদ্বেগজনক ও অব্যাহত প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করা যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নীতি আছে, সেসব গণতান্ত্রিক নীতিমালা সমুন্নত রাখতে আপনি (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে নেতৃত্ব দেবেন।’

 

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১১:১৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
৫১৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশ পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান ১৯ আইনপ্রণেতার

আপডেট সময় ১১:১৩:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন দেশটির ১৯ আইনপ্রণেতা।

শুক্রবার লিখিত চিঠিতে তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের আরও অবনতি রোধ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। চিঠিতে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগও আনা হয়েছে।

মার্কিন ডেমোক্র্যাট সিনেটর এডওয়ার্ড জে মারকি, প্রতিনিধি জিম ম্যাকগভর্ন ও বিল কিটিং এই চিঠির উদ্যোক্তা। এতে মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উভয় কক্ষের আরও কয়েকজন আইনপ্রণেতা স্বাক্ষর করেছেন। সিনেটর এডওয়ার্ড জে মারকির নিজস্ব ওয়েবসাইটে চিঠিটি প্রকাশ করা হয়েছে।

সিনেটর মারকির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সিনেটর এডওয়ার্ড জে. মারকি এবং প্রতিনিধি জিম ম্যাকগভর্ন ও বিল কিটিং তাদের সহকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আজ শুক্রবার একটি দ্বিদলীয় চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের অবনতিশীল অবস্থায় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ছাত্র আন্দোলনকারী ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে মারাত্মক সংঘর্ষ হচ্ছে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়টিই তুলে ধরে।

ব্লিঙ্কেনের কাছে লেখা চিঠিতে আইনপ্রণেতারা লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করে এমন পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে রয়েছে—চলতি বছরের জানুয়ারিতে গভীর ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান, শ্রম নীতিমালার উন্নয়নে ব্যর্থ হওয়া, অতি সম্প্রতি বন্দুক, টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে সহিংসভাবে বিক্ষোভ দমন করা এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া উল্লেখযোগ্য।’

আইনপ্রণেতারা আরও লিখেছেন, ‘এই উদ্বেগজনক ও অব্যাহত প্রবণতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করা যে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও নীতি আছে, সেসব গণতান্ত্রিক নীতিমালা সমুন্নত রাখতে আপনি (মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরকে নেতৃত্ব দেবেন।’