ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য কমিটি গঠন করল ভারত

চেকপোস্ট ডেস্ক::

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটি বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এ খবর জানিয়েছে।

ভারত সরকার বলেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (আইবিবি) বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে ভারত সরকার। কমিটি ভারতীয় নাগরিক এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে।

এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি, দক্ষিণবঙ্গের বিএসএফ ফ্রন্টিয়ার সদর দপ্তরের আইজি, বিএসএফ ফ্রন্টিয়ার সদর দপ্তর ত্রিপুরার আইজি, ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এলপিএআই) সদস্য (প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এবং এলপিএআইয়ের সচিব।

এর আগে বৃহস্পতিবার শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসানের পর তিনি দেশে আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বাংলাদেশে কয়েক সপ্তাহের সহিংসতায় ৪৫৫ জন নিহতের পর ড. ইউনূস ইউরোপ থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। তিনি দেশবাসীকে শান্তি-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সংখ্যালঘুসহ নাগরিকদের একে অপরকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা আমাদের প্রথম কাজ…আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক না করলে আমরা একধাপও এগোতে পারব না।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং দেশের হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্সে লিখেছেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য শুভকামনা জানাই। আমরা হিন্দু এবং অন্য সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার আশা করি। দুই দেশের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থতিতে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিএসএফ। কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার ভিজ্যুয়ালি দেখা গেছে, ১৬৯তম ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা হালকা বৃষ্টি সত্ত্বেও রাতে টহল দিচ্ছেন।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৯:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪
৫১৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য কমিটি গঠন করল ভারত

আপডেট সময় ০৯:৪৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৪

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতার ঘটনা পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটি বিভিন্ন সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিসহ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদন এ খবর জানিয়েছে।

ভারত সরকার বলেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের (আইবিবি) বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করেছে ভারত সরকার। কমিটি ভারতীয় নাগরিক এবং বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে।

এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) ইস্টার্ন কমান্ডের এডিজি, দক্ষিণবঙ্গের বিএসএফ ফ্রন্টিয়ার সদর দপ্তরের আইজি, বিএসএফ ফ্রন্টিয়ার সদর দপ্তর ত্রিপুরার আইজি, ল্যান্ড পোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এলপিএআই) সদস্য (প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) এবং এলপিএআইয়ের সচিব।

এর আগে বৃহস্পতিবার শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ছাত্র-জনতার গণ–অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার ১৫ বছরের শাসনের অবসানের পর তিনি দেশে আবারও গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বাংলাদেশে কয়েক সপ্তাহের সহিংসতায় ৪৫৫ জন নিহতের পর ড. ইউনূস ইউরোপ থেকে ঢাকায় ফিরেছেন। তিনি দেশবাসীকে শান্তি-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারে সংখ্যালঘুসহ নাগরিকদের একে অপরকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা আমাদের প্রথম কাজ…আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক না করলে আমরা একধাপও এগোতে পারব না।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং দেশের হিন্দু ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী মোদি এক্সে লিখেছেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে তার নতুন দায়িত্ব গ্রহণের জন্য শুভকামনা জানাই। আমরা হিন্দু এবং অন্য সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করে দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার আশা করি। দুই দেশের জনগণের শান্তি, নিরাপত্তা ও উন্নয়নের জন্য ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থতিতে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিএসএফ। কোচবিহারের মাথাভাঙ্গার ভিজ্যুয়ালি দেখা গেছে, ১৬৯তম ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা হালকা বৃষ্টি সত্ত্বেও রাতে টহল দিচ্ছেন।