বড়াইগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদের স্মরণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন
নাটোরের বড়াইগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদের স্মরণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৭ই আগস্ট) সন্ধ্যা ৭ টা ৩০ মিনিটে বড়াইগ্রাম পৌরসভা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এসময় উপস্থিত রাকিবুল হাসান রাফি, রুদ্র সান্যাল, জনি প্রধান, বিজয় কুন্ডু, আরাফাত সহ শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, শিক্ষার্থীরা কখনও লুটপাটকারী হয় না। বাংলাদেশে যতবারই স্বৈরাচার আসবে ততবারই তারা জ্বলে উঠবে। তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের এবারের আন্দোলন পরবর্তী শাসকদের জন্য দিকনির্দেশায় হিসেবে কাজ করবে।
শিক্ষার্থী রাকিবুল হাসান রাফি জানান, আজকে বাংলাদেশের নতুন করে স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে আমাদের শিক্ষার্থীদের জীবনের বিনিময়ে, তার অবদান আমরা কখনোই ভুলব না আর ভুলার মত নয়। সারা বাংলাদেশ নয় বিশ্ববাসী মনে রাখবে। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে নতুন বাংলাদেশে আবারও নতুন ভাবে গড়ব সবাইকে নিয়ে। যেখানে কোনো অনিয়ম বৈষম্য থাকবে না। আমরা ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ দেখেনি কিন্তু ২০২৪ সালে ছাত্র আন্দোলন দেখেছি। আমাদের জন্য জীবন উৎসর্গকারী এই বীরদের আমরা আজীবন স্মরণ করব, সম্মান জানাবো।
সমাপনী বক্তব্যে সারাদেশে লুটপাট ভাঙচুর নৈরাজ্যের প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।
সবশেষ দেশত্ববোধক গান গেয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।