ঢাকা ০৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফুলতলার আলোচিত এখলাস হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

মোঃ রবিউল হোসেন খান, খুলনা::

ছবি: প্র্রতিকী

খুলনার ফুলতলা উপজেলার আলোচিত এখলাস হত্যা মামলায় দুইজন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর চার আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় তারা বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

গতকাল খুলনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবীর পারভেজ এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ফুলতলা উপজেলার দামোদর পশ্চিম পাড়া এলাকার আরিফ চৌধুরীর ছেলে আজিজুল চৌধুরী, একই এলাকার সরদারপাড়ার আক্তার সরদারের ছেলে রুবেল সরদার।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আলাউদ্দিন চৌধুরী, মো: হারুন অর রশিদ ওরফে মো: হারুন খা, আশরাফুল আলম ওরফে কচি সরদার।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দামোদর গ্রামের জনৈক আলাউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে নিহত এখলাসের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে আলাউদ্দিন প্রায়ই তাকে হুমকি দিতেন এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হত্যার ভয়ভীতি দেখাতেন।

২০১৪ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এখলাস ও চায়ের দোকানি জহির কাজী মোটরসাইকেলে ফুলতলা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১টার দিকে বাড়ির সামনে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা আজিজুল ইসলাম, মো: হারুন খা, রুবেল সরদারসহ ৫-৭ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে এখলাসের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

আতঙ্কিত হয়ে এখলাস দৌড়ে বাড়ির দিকে ছুটে যান এবং স্ত্রীকে বাঁচানোর আকুতি জানাতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় এখলাসকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় এখলাসের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর – ৪)।

২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মো: শাহাবুদ্দিন চৌধুরী ৭ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত দুইজন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং অপর চারজনকে খালাস দেন।

 

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৯:২২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
৫১৩ বার পড়া হয়েছে

ফুলতলার আলোচিত এখলাস হত্যা মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

আপডেট সময় ০৯:২২:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

খুলনার ফুলতলা উপজেলার আলোচিত এখলাস হত্যা মামলায় দুইজন আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপর চার আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হওয়ায় তারা বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

গতকাল খুলনার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবীর পারভেজ এই রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন ফুলতলা উপজেলার দামোদর পশ্চিম পাড়া এলাকার আরিফ চৌধুরীর ছেলে আজিজুল চৌধুরী, একই এলাকার সরদারপাড়ার আক্তার সরদারের ছেলে রুবেল সরদার।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আলাউদ্দিন চৌধুরী, মো: হারুন অর রশিদ ওরফে মো: হারুন খা, আশরাফুল আলম ওরফে কচি সরদার।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দামোদর গ্রামের জনৈক আলাউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে নিহত এখলাসের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্ব ছিল। এ নিয়ে আলাউদ্দিন প্রায়ই তাকে হুমকি দিতেন এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হত্যার ভয়ভীতি দেখাতেন।

২০১৪ সালের ২৫ মার্চ দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এখলাস ও চায়ের দোকানি জহির কাজী মোটরসাইকেলে ফুলতলা বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। রাত ১টার দিকে বাড়ির সামনে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওঁৎ পেতে থাকা আজিজুল ইসলাম, মো: হারুন খা, রুবেল সরদারসহ ৫-৭ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে এখলাসের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

আতঙ্কিত হয়ে এখলাস দৌড়ে বাড়ির দিকে ছুটে যান এবং স্ত্রীকে বাঁচানোর আকুতি জানাতে থাকেন। তার চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় এখলাসকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ঘটনায় এখলাসের ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ফুলতলা থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর – ৪)।

২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডি পুলিশ পরিদর্শক মো: শাহাবুদ্দিন চৌধুরী ৭ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত দুইজন আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং অপর চারজনকে খালাস দেন।