ঢাকা ০৩:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পূজার সময় মাকে ভীষণ মিস করি: আবেগঘন স্মৃতিচারণা পূজা চেরীর

চেকপোস্ট ডেস্ক::

এবারের দুর্গোৎসব ঢাকায় উদযাপন করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরী। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঘুরে কাটিয়েছেন আনন্দময় সময়।

পূর্ণ আবেগে পূজা চেরী বলেন, “এবারের উৎসব ঢাকায় কাটালাম। আমার পূজার আনন্দ শুরু হয় অষ্টমী থেকেই। তবে এবারের পূজায় মা’কে ভীষণভাবে মিস করেছি। মা এখন আর বেঁচে নেই, আর তাই পূজার আনন্দটা আগের মতো রঙিন ছিল না। মা থাকলে এই উৎসবের রূপটাই ভিন্ন হতো।”

শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি জানান, “আমাদের গ্রামের বাড়ি খুলনায় হলেও আমি বড় হয়েছি ঢাকার হাজারীবাগে। ধুলোমাখা সেই শৈশবের দিনগুলো আজও মনে পড়ে। পূজার সময় নানা পোশাক পরে বের হতাম, আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে পেতাম উপহার। ছোটবেলায় তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজারসহ পুরান ঢাকার অসংখ্য মন্দিরে ঘুরতাম। ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে মা’র হাতের রান্না খেয়ে মন ভরে যেত। সেই সময়গুলো সত্যিই আজ খুব মনে পড়ে।”

এবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে লাল-সাদা শাড়িতে হাজির হয়ে পূজার আনন্দে শরিক হয়েছেন পূজা চেরী। সবার সঙ্গে সময় কাটানো, ছবি তোলা আর সামাজিক মাধ্যমে সেই মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া ছিল তাঁর উৎসবের অংশ।

পূজা আরও বলেন, “মণ্ডপে গিয়ে একটা ভিন্নরকম অনুভূতি হয়েছিল। কেউ এগিয়ে এসে সেলফি তুলেছেন, কেউ দূর থেকে শুধু তাকিয়ে ছিলেন। অনেকের চোখে-মুখে একটা প্রশ্ন ছিল—আমি কি সত্যিই পূজা চেরী? পুরো অভিজ্ঞতাই আমার কাছে দারুণ লেগেছে।”

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০১:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
৬১৪ বার পড়া হয়েছে

পূজার সময় মাকে ভীষণ মিস করি: আবেগঘন স্মৃতিচারণা পূজা চেরীর

আপডেট সময় ০১:০০:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

এবারের দুর্গোৎসব ঢাকায় উদযাপন করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা চেরী। রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ঘুরে কাটিয়েছেন আনন্দময় সময়।

পূর্ণ আবেগে পূজা চেরী বলেন, “এবারের উৎসব ঢাকায় কাটালাম। আমার পূজার আনন্দ শুরু হয় অষ্টমী থেকেই। তবে এবারের পূজায় মা’কে ভীষণভাবে মিস করেছি। মা এখন আর বেঁচে নেই, আর তাই পূজার আনন্দটা আগের মতো রঙিন ছিল না। মা থাকলে এই উৎসবের রূপটাই ভিন্ন হতো।”

শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি জানান, “আমাদের গ্রামের বাড়ি খুলনায় হলেও আমি বড় হয়েছি ঢাকার হাজারীবাগে। ধুলোমাখা সেই শৈশবের দিনগুলো আজও মনে পড়ে। পূজার সময় নানা পোশাক পরে বের হতাম, আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে পেতাম উপহার। ছোটবেলায় তাঁতীবাজার, শাঁখারীবাজারসহ পুরান ঢাকার অসংখ্য মন্দিরে ঘুরতাম। ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরে মা’র হাতের রান্না খেয়ে মন ভরে যেত। সেই সময়গুলো সত্যিই আজ খুব মনে পড়ে।”

এবার ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে লাল-সাদা শাড়িতে হাজির হয়ে পূজার আনন্দে শরিক হয়েছেন পূজা চেরী। সবার সঙ্গে সময় কাটানো, ছবি তোলা আর সামাজিক মাধ্যমে সেই মুহূর্ত ভাগ করে নেওয়া ছিল তাঁর উৎসবের অংশ।

পূজা আরও বলেন, “মণ্ডপে গিয়ে একটা ভিন্নরকম অনুভূতি হয়েছিল। কেউ এগিয়ে এসে সেলফি তুলেছেন, কেউ দূর থেকে শুধু তাকিয়ে ছিলেন। অনেকের চোখে-মুখে একটা প্রশ্ন ছিল—আমি কি সত্যিই পূজা চেরী? পুরো অভিজ্ঞতাই আমার কাছে দারুণ লেগেছে।”