ঢাকা ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ৩০ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পহেলা বৈশাখকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের মৃৎশিল্পীরা

প্রসেনজিৎ চন্দ্র শর্মা, দিনাজপুর প্রতিনিধি::

বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় মাটির তৈজসপত্র ও খেলনা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। গ্রামাঞ্চলের বৈশাখী মেলাগুলোতে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সকাল থেকে রাত অবধি কাজ করে চলেছেন তারা।

পালপাড়ায় দেখা যায়, কেউ রোদে শুকাচ্ছেন মাটির জিনিস, কেউবা আগুনে পুড়িয়ে রং তুলির ছোঁয়ায় দিচ্ছেন রঙিন সাজ। পুতুল, হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, দোয়েল পাখি, মাটির ব্যাংক, হাঁড়ি-পাতিল, দইয়ের বাটি, এমনকি ঐতিহ্যবাহী মাটির গয়না-সবই তৈরি হচ্ছে বৈশাখ উপলক্ষে।

স্থানীয় মৃৎশিল্পী চৈতন্য পাল (৫৫) বলেন, “এ সময়টাতে কাজের চাপ বেশি থাকে। আশা করি, পহেলা বৈশাখে বিক্রি ভালো হলে সারা বছরের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবো।”

এ এলাকার সন্ধ্যা রানী পাল, স্বপনা রানী, প্রফুল্ল পাল, বিকাশ পাল, নিবার্ণ পাল ও তাপস পাল সহ প্রায় ২০-২৫ জন মৃৎশিল্পী পণ্য তৈরি করে স্থানীয় বৈশাখী মেলা ও হাটে বিক্রি করে থাকেন।

তারা বলেন, প্লাস্টিকের পণ্য বাজারে আসায় মাটির তৈরি জিনিসের কদর কমেছে। তবুও পূর্বপুরুষের এই পেশা ছাড়তে চান না তারা। সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন মৃৎশিল্পীরা।

ট্যাগস :

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ০৯:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
৫১১ বার পড়া হয়েছে

পহেলা বৈশাখকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন দিনাজপুরের মৃৎশিল্পীরা

আপডেট সময় ০৯:১৭:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সাতোর ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় মাটির তৈজসপত্র ও খেলনা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। গ্রামাঞ্চলের বৈশাখী মেলাগুলোতে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সকাল থেকে রাত অবধি কাজ করে চলেছেন তারা।

পালপাড়ায় দেখা যায়, কেউ রোদে শুকাচ্ছেন মাটির জিনিস, কেউবা আগুনে পুড়িয়ে রং তুলির ছোঁয়ায় দিচ্ছেন রঙিন সাজ। পুতুল, হাতি, ঘোড়া, ময়ূর, দোয়েল পাখি, মাটির ব্যাংক, হাঁড়ি-পাতিল, দইয়ের বাটি, এমনকি ঐতিহ্যবাহী মাটির গয়না-সবই তৈরি হচ্ছে বৈশাখ উপলক্ষে।

স্থানীয় মৃৎশিল্পী চৈতন্য পাল (৫৫) বলেন, “এ সময়টাতে কাজের চাপ বেশি থাকে। আশা করি, পহেলা বৈশাখে বিক্রি ভালো হলে সারা বছরের ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবো।”

এ এলাকার সন্ধ্যা রানী পাল, স্বপনা রানী, প্রফুল্ল পাল, বিকাশ পাল, নিবার্ণ পাল ও তাপস পাল সহ প্রায় ২০-২৫ জন মৃৎশিল্পী পণ্য তৈরি করে স্থানীয় বৈশাখী মেলা ও হাটে বিক্রি করে থাকেন।

তারা বলেন, প্লাস্টিকের পণ্য বাজারে আসায় মাটির তৈরি জিনিসের কদর কমেছে। তবুও পূর্বপুরুষের এই পেশা ছাড়তে চান না তারা। সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ও সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এই ঐতিহ্যবাহী শিল্প টিকিয়ে রাখা সম্ভব বলে মনে করেন মৃৎশিল্পীরা।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/checkpostcom/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464