ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতিযোগিতা থাকা সত্বেও

নির্বাচনী পোস্টারে প্রচারণায় ‘সর্বস্তরের জনগণ’

শেখ শাহাউর রহমান বেলাল::

নির্বাচনী পোস্টারে প্রচারণায় ‘সর্বস্তরের জনগণ’

নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আজ দু’কথা লিখবো। সংসদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ যেকোন নির্বাচন-ই হউক না কেন আমাদের দেশে একটি প্রথা বা রেওয়াজ চলমান রয়েছে। এটি নতুন নয় ঐতিহাসিক প্রথা। একেক দেশে একেক প্রথা রয়েছে। ছোট থেকে অদ্যবদি সব নির্বাচনেই এই প্রথা বা রেওয়াজটি প্রচলিত হয়ে আসছে। সংসদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ সব ক’টি নির্বাচনে প্রার্থীরা পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, তোরণ ইত্যাদি করে প্রচারের মাধ্যমে ভোট চেয়ে থাকেন। যোগ্যতার ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষে, গরিব—দুঃখী জনসাধারণের বন্ধু, মেহনতি জনগণের বন্ধু, উন্নয়নের রূপকার, ন্যায় বিচারক, উচ্চ শিক্ষিত, বিশিষ্ট ধানবীর, সমাজসেবক, প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর ইত্যাদি বিশেষ পদ পদবী ব্যবহার করেও জনগণকে আকৃষ্ট বা জনগণের মন ভুলানোর চেষ্টা করে থাকে। প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া নির্দিষ্ট প্রতীকে চাওয়া হয়। আর এ ভোট চাইতে গিয়ে প্রার্থীর পক্ষে প্রতীক নিয়ে পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, তোরণের নিচে নিবেদক বা প্রচারক হিসেবে লেখা থাকে সেই পুরনো প্রথা বা রেওয়াজ অত্র নির্বাচনী এলাকার ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’। আমার আজকের লেখা বা ভাবনা হলো পুরনো প্রথা বা রেওয়াজ ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’ কথাটি নিয়েই।

প্রথমত বলতে চাই, কোন নির্বাচনী এলাকার ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’। যদি সত্যিকার অর্থেই কোনো প্রার্থীকে এককভাবে চায়, তাহলে তো সেখানে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিযোগিতায় সচল থাকার কথা না অর্থাৎ তখন নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তাই থাকে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সব নির্বাচনেই কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটযুদ্ধে ক্রিয়াশীল থাকেন, নির্বাচনও হয় এবং প্রচারণায় সব প্রার্থীর পক্ষেই নিবেদক বা প্রচারক হিসেবে লেখা হয় ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’।

দ্বিতীয়ত, ধরেন একটি নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী। তিনজনের পক্ষেই যখন সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন আছে বলে দাবি করা হয় এবং আমরা যদি তিনপক্ষের কথাকেই সত্য বলে গণ্য করি, তখন কিন্তু জনগণ বা ভোটার সংখ্যাও তিনগুণ বেড়ে যায়। কাজেই আমাদের নির্বাচনী প্রচারণায় ঢালাওভাবে চিরব্যবহৃত এই ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’ কথাটি বাস্তবসম্মত নয়, সম্ভবপরও নয় এটি প্রচলিত রীতি মাত্র।

সকল নির্বাচনে প্রার্থীরা নিজেরাই ব্যানার পোস্টার ছাপিয়ে নিচে নিবেদক বা প্রচারক হিসেবে লিখেন ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’। আসলে কি জনগণ এরকম প্রচার করে? তাহলে কেন জনগণের উপর দোষারূপ দেয়া হয়?

সর্বস্তরের জনগণের সেরকম ঐক্যশক্তি আমর শুনেছি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে, ছেষট্টির ছয়দফায়, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে, সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং নব্বই’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে। যতটুকু জানি সর্বস্তরের জনসাধারণের এ ধরনের নিরঙ্কুশ ঐক্যের জন্য কোনো জাতীয় ইস্যু দরকার।

একটি রোমান প্রবাদ আছে ‘ভক্স পপুলি ভক্স ডি, অর্থাৎ ‘জনগণের কণ্ঠস্বরই বিধাতার কণ্ঠস্বর’। এই প্রবাদটিতে সর্বস্তরের জনগণের ঐক্যকে পবিত্র মহাশক্তি মান্য করে এটাই বোঝানো হয়েছে যে, সর্বস্তরের জনগণ যখন কোনো ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ সমর্থন দেন, তখন সেটির পক্ষে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই তাঁর সমর্থন বা রায় দেন অর্থাৎ সেটি সফলতা লাভ করে। কিন্তু একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত যে কোনো স্থানীয় নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন দাবি করা অযৌক্তিক। তাই সত্যের খাতিরে প্রচারণায় সেরকম কিছু লেখা উচিত নয়।

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে, তবে কী লেখা যেতে পারে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের জনগণ, প্রগতিশীল জনসাধারণ, সচেতন জনগণ, ধর্মপ্রাণ জনসাধারণ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী, গরিব—দুঃখী জনসাধারণ, মেহনতি জনগণ, তরুণ ভোটারবৃন্দ যা—ই লেখা হোকনা কেন; এতে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা বা গ্রহণযোগ্যতা খণ্ডিত হয়ে যায়, তার পক্ষে সমর্থন পরিপূর্ণতা পায় না। এরকম যে কোনো একপক্ষের নাম লিখলে অন্যান্য পক্ষের সমর্থন হারানোর আশঙ্কাই বেশি। তাহলে সার্বিক বিবেচনায় কী লেখা উচিত? এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টজনদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং তাঁদের চিন্তার খোরাক জোগানোর ইচ্ছে থেকেই আমার এই রচনার প্রয়াস।

কোনো নির্বাচনী প্রার্থী, প্রচলিত নির্বাচনী আচরণবিধি, রাজনৈতিক দলমত বা শ্রদ্ধেয় নেতৃবৃন্দকে হেয় প্রতিপন্ন কিংবা প্রশ্নবিদ্ধ করার চতুর ও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়। কেননা যোগ্য নেতৃবৃন্দের প্রতি আমি সবসময়ই শ্রদ্ধাশীল। যেহেতু যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই আমার পেয়েছি রাষ্ট্রভাষা বাংলা, পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। যোগ্য নেতৃত্বের গুণেই সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার কথিত ‘তলাহীন ভিক্ষার ঝুলি’র অপবাদ ঘুচিয়ে আমরা উঠে এসেছি উন্নয়নের রোল মডেলে। যোগ্য নেতৃত্বের হাত ধরেই আমাদেরকে বিনির্মাণ করতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

নিউজটি টাইম লাইনে শেয়ার করুন

আপলোডকারীর তথ্য

চেকপোস্ট

Checkpost is one of the most popular Bengali news portal and print newspaper in Bangladesh. The print and online news portal started its operations with a commitment to fearless, investigative, informative and unbiased journalism.
আপডেট সময় ১২:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
৫৬০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর প্রতিযোগিতা থাকা সত্বেও

নির্বাচনী পোস্টারে প্রচারণায় ‘সর্বস্তরের জনগণ’

আপডেট সময় ১২:৩০:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে আজ দু’কথা লিখবো। সংসদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ যেকোন নির্বাচন-ই হউক না কেন আমাদের দেশে একটি প্রথা বা রেওয়াজ চলমান রয়েছে। এটি নতুন নয় ঐতিহাসিক প্রথা। একেক দেশে একেক প্রথা রয়েছে। ছোট থেকে অদ্যবদি সব নির্বাচনেই এই প্রথা বা রেওয়াজটি প্রচলিত হয়ে আসছে। সংসদ নির্বাচন, সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা, জেলা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনসহ সব ক’টি নির্বাচনে প্রার্থীরা পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, তোরণ ইত্যাদি করে প্রচারের মাধ্যমে ভোট চেয়ে থাকেন। যোগ্যতার ভিত্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষে, গরিব—দুঃখী জনসাধারণের বন্ধু, মেহনতি জনগণের বন্ধু, উন্নয়নের রূপকার, ন্যায় বিচারক, উচ্চ শিক্ষিত, বিশিষ্ট ধানবীর, সমাজসেবক, প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর ইত্যাদি বিশেষ পদ পদবী ব্যবহার করেও জনগণকে আকৃষ্ট বা জনগণের মন ভুলানোর চেষ্টা করে থাকে। প্রার্থীর পক্ষে পাওয়া নির্দিষ্ট প্রতীকে চাওয়া হয়। আর এ ভোট চাইতে গিয়ে প্রার্থীর পক্ষে প্রতীক নিয়ে পোস্টার, ব্যানার, লিফলেট, প্রচারপত্র, তোরণের নিচে নিবেদক বা প্রচারক হিসেবে লেখা থাকে সেই পুরনো প্রথা বা রেওয়াজ অত্র নির্বাচনী এলাকার ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’। আমার আজকের লেখা বা ভাবনা হলো পুরনো প্রথা বা রেওয়াজ ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’ কথাটি নিয়েই।

প্রথমত বলতে চাই, কোন নির্বাচনী এলাকার ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’। যদি সত্যিকার অর্থেই কোনো প্রার্থীকে এককভাবে চায়, তাহলে তো সেখানে আর কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী প্রতিযোগিতায় সচল থাকার কথা না অর্থাৎ তখন নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তাই থাকে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, সব নির্বাচনেই কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটযুদ্ধে ক্রিয়াশীল থাকেন, নির্বাচনও হয় এবং প্রচারণায় সব প্রার্থীর পক্ষেই নিবেদক বা প্রচারক হিসেবে লেখা হয় ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’।

দ্বিতীয়ত, ধরেন একটি নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী। তিনজনের পক্ষেই যখন সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন আছে বলে দাবি করা হয় এবং আমরা যদি তিনপক্ষের কথাকেই সত্য বলে গণ্য করি, তখন কিন্তু জনগণ বা ভোটার সংখ্যাও তিনগুণ বেড়ে যায়। কাজেই আমাদের নির্বাচনী প্রচারণায় ঢালাওভাবে চিরব্যবহৃত এই ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’ কথাটি বাস্তবসম্মত নয়, সম্ভবপরও নয় এটি প্রচলিত রীতি মাত্র।

সকল নির্বাচনে প্রার্থীরা নিজেরাই ব্যানার পোস্টার ছাপিয়ে নিচে নিবেদক বা প্রচারক হিসেবে লিখেন ‘সর্বস্তরের জনগণ’ ‘সর্বস্তরের জনসাধারণ’ বা ‘এলাকাবাসী’। আসলে কি জনগণ এরকম প্রচার করে? তাহলে কেন জনগণের উপর দোষারূপ দেয়া হয়?

সর্বস্তরের জনগণের সেরকম ঐক্যশক্তি আমর শুনেছি বায়ান্নর ভাষা আন্দোলনে, ছেষট্টির ছয়দফায়, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে, সত্তরের সাধারণ নির্বাচনে, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং নব্বই’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে। যতটুকু জানি সর্বস্তরের জনসাধারণের এ ধরনের নিরঙ্কুশ ঐক্যের জন্য কোনো জাতীয় ইস্যু দরকার।

একটি রোমান প্রবাদ আছে ‘ভক্স পপুলি ভক্স ডি, অর্থাৎ ‘জনগণের কণ্ঠস্বরই বিধাতার কণ্ঠস্বর’। এই প্রবাদটিতে সর্বস্তরের জনগণের ঐক্যকে পবিত্র মহাশক্তি মান্য করে এটাই বোঝানো হয়েছে যে, সর্বস্তরের জনগণ যখন কোনো ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ সমর্থন দেন, তখন সেটির পক্ষে স্বয়ং সৃষ্টিকর্তাই তাঁর সমর্থন বা রায় দেন অর্থাৎ সেটি সফলতা লাভ করে। কিন্তু একাধিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত যে কোনো স্থানীয় নির্বাচনে একজন প্রার্থীর পক্ষে সংশ্লিষ্ট এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সমর্থন দাবি করা অযৌক্তিক। তাই সত্যের খাতিরে প্রচারণায় সেরকম কিছু লেখা উচিত নয়।

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগে, তবে কী লেখা যেতে পারে? মুক্তিযুদ্ধের চেতনার স্বপক্ষের জনগণ, প্রগতিশীল জনসাধারণ, সচেতন জনগণ, ধর্মপ্রাণ জনসাধারণ, শিক্ষিত জনগোষ্ঠী, গরিব—দুঃখী জনসাধারণ, মেহনতি জনগণ, তরুণ ভোটারবৃন্দ যা—ই লেখা হোকনা কেন; এতে প্রার্থীর জনপ্রিয়তা বা গ্রহণযোগ্যতা খণ্ডিত হয়ে যায়, তার পক্ষে সমর্থন পরিপূর্ণতা পায় না। এরকম যে কোনো একপক্ষের নাম লিখলে অন্যান্য পক্ষের সমর্থন হারানোর আশঙ্কাই বেশি। তাহলে সার্বিক বিবেচনায় কী লেখা উচিত? এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টজনদের দৃষ্টি আকর্ষণ এবং তাঁদের চিন্তার খোরাক জোগানোর ইচ্ছে থেকেই আমার এই রচনার প্রয়াস।

কোনো নির্বাচনী প্রার্থী, প্রচলিত নির্বাচনী আচরণবিধি, রাজনৈতিক দলমত বা শ্রদ্ধেয় নেতৃবৃন্দকে হেয় প্রতিপন্ন কিংবা প্রশ্নবিদ্ধ করার চতুর ও অসৎ উদ্দেশ্যে নয়। কেননা যোগ্য নেতৃবৃন্দের প্রতি আমি সবসময়ই শ্রদ্ধাশীল। যেহেতু যোগ্য নেতৃত্বের কারণেই আমার পেয়েছি রাষ্ট্রভাষা বাংলা, পেয়েছি এই স্বাধীন বাংলাদেশ। যোগ্য নেতৃত্বের গুণেই সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার কথিত ‘তলাহীন ভিক্ষার ঝুলি’র অপবাদ ঘুচিয়ে আমরা উঠে এসেছি উন্নয়নের রোল মডেলে। যোগ্য নেতৃত্বের হাত ধরেই আমাদেরকে বিনির্মাণ করতে হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।